বাসস দেশ-১৫ : বিদ্যালয় ও খেলার মাঠের পাশে ৯০ ভাগ তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় হয়

130

বাসস দেশ-১৫
তামাক-বিক্রয় কেন্দ্র-বিদ্যালয়
বিদ্যালয় ও খেলার মাঠের পাশে ৯০ ভাগ তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় হয়
ঢাকা, ৫ জানুয়ারি, ২০২১(বাসস) : বিদ্যালয় ও খেলার মাঠের ১০০ গজের মধ্যে ৯০ভাগ তামাক জাত দ্রব্য বিক্রয় হয় এবং ৮২ভাগ বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য শিশুদের দৃষ্টি সীমানার মধ্যে প্রদর্শিতহয়। এছাড়াও ৬৪ ভাগ বিক্রয় কেন্দ্রে চকলেট, ক্যান্ডি, খেলনা, মিষ্টি বা অন্যান্য সামগ্রীর পাশে বা সাথে তামাকজাত দ্র্রব্যের প্রদর্শন দেখা যায়।
‘বিগ টোব্যাকো টাইনি টার্গেট বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি জরিপে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্ এর সহযোগিতায় জরিফটি পরিচালনা করেছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। সোমবার ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত ’তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন সর্ম্পকিত এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
’তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন সর্ম্পকিত জরিপের ফলাফল প্রকাশ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান।
এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধূরী ও বাংলাদেশ ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশনের,প্রাক্তন চেয়ারম্যান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন হেল্থ ও ওয়াস সেক্টর এর পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ইপিডিমিলোজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধূরী ,ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্সের কর্মসূচী কর্মকর্তা আতাউর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মো. আবদুল মান্নান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন ও পরবর্তীতে এর যথাযথ সংশোধন করে সরকার। বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ আবারো আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। এক্ষেত্রে এ ধরনের জরিপের ফলাফল আইন সংশোধনে সহযোগিতা করবে। যদি সকলের সমান ইচ্ছা শক্তিও সহযোগিতা থাকে তাহলে ২০৪০ সালের পূর্বেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদিকে, তামাকবিরোধী সংস্থা এসিডি ও বিটা পরিচালিত দেশের অন্যতম ৩টি প্রধান শহরে (চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুর) জরিপেও ৮৪ ভাগ পয়েন্ট অব সেলে তামাকজাত দ্র্রব্যের প্রদর্শন দেখা গিয়েছে। যার মধ্যে রংপুরে ৯২ ভাগ, চট্টগ্রামে ৮ এবং রাজশাহীতে ৭৩ভাগ। এই দ্রব্যগুলো এমনভাবে প্রদর্শিত হয় বিক্রয়কেন্দ্রের সামনের দিকে সোকেজের ভিতরে বা উপরে অন্যান্য আকর্ষনীয়ও দ্রব্যের সাথে বা পাশে স্তরে স্তরে সাজানো থাকে। আর তামাকজাত দ্রব্যেও এধরনের প্রদর্শন শিশু-কিশোরদের তামাকজাত দ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট করছে প্রতিনিয়ত।
বাসস/কেসি/১৫৫৫/-আসাচৌ