বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : শিক্ষার মাধ্যমে শান্তির পথ ধরে প্রগতির পথে এগিয়ে যাবে ছাত্রলীগ : প্রধানমন্ত্রী

202

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-ছাত্রলীগ-ভাষণ
শিক্ষার মাধ্যমে শান্তির পথ ধরে প্রগতির পথে এগিয়ে যাবে ছাত্রলীগ : প্রধানমন্ত্রী

সংগঠনকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি সংগঠনটা শক্তিশালী না থাকে তাহলে কোন কাজই সফলভাবে করা যায়না। কারণ মানুষের শক্তিটাই সবথেকে বড় শক্তি। এই শক্তিই মানুষকে সাহস জোগায়, যেকোন পদক্ষেপ নেয়ার প্রেরণা জোগায়।’ তিনি ’৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সে সময়কার সামরিক শাসনকে অগ্রাহ্য করে দেশে ফিরে এসে সংগঠন গড়ে তোলাতে মনোনিবেশ প্রসংগে আরো বলেন, ‘আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগই বেশি রক্ত দিয়েছে।’ তিনি বলেন,‘দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদালয়ের আন্দোলন, ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলন, স্বৈরাচার বিরোধি আন্দোলন থেকে যেকোন আন্দোলনেই যদি আমরা দেখি তাহলে সবথেকে বেশি রক্ত দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বিশেষকরে ’৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতা দখলের সময়।’ তিনি বলেন, ‘খন্দকার মোস্তাককে আগে সে (জিয়া) মদদ দেয় এবং এরপর মোস্তাককে হটিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি বনে যায়। আর দেশে হত্যা, ক্যু, ষড়ন্ত্রের রাজনীতির গোড়াপত্তন করে।’
এরপর জিয়ার কাজই ছিল ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে প্রলোভন দিয়ে দলে টানার চেষ্টা এবং সেটা না হলে গুম,খুন, হত্যা, বলেন তিনি। এ সময় শিঙ্গাঙ্গণে মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের বিপথগামী করে জিয়াউর রহমান- এমন অভিযোগও আওয়ামী লীগ সভাপতির। পক্ষান্তরে তিনি ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে বই-কাগজ কলম তুলে দেন, বলেও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেই আদর্শের বিচ্যুতি ঘটে ’৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পর থেকে। যে কারণে বাংলাদেশ তাঁর কাঙ্খিত উন্নতি অর্জনে ব্যর্থ হয়। ক্ষমতাকে নিষ্কন্টক করার জন্য দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা,নির্যাতন,গুম ও খুনে মেতে ওঠে সামরিক জান্তা। শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান থেকে আলাদা হবার পর বাংলাদেশ আবার উন্নতি করতে পারে, এটা তারা মানতে চায়নি। বরং বাংলাদেশকে ব্যর্থ করতে চেয়েছিল। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের বিজয় যেন একেবারে নস্যাৎ হয়ে যায়- সেটাই তাদের লক্ষ্য ছিল এবং যে চক্রান্ত এখনও চলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ুর অভিঘাত থেকে বাংলাদেশের মুক্তির জন্য মুজিববর্ষ উপলক্ষে তঁর সরকার গৃহীত বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণের জন্যও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান। মুজিবর্ষে দেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীনকে ঘরে করে দেয়ায় তাঁর সরকারের চলমান কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্যও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক গৃহহীনকে আমরা ঘর করে দেব এবং মুজিবর্ষ এবং স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনকালে প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ দিয়ে সমগ্র দেশকে আমরা আলোকিত করবো।’ ‘মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সহ মোলিক সেবাগুলো যেন সকলে পেতে পারে এবং মাথা উঁচু করে দেশের মানুষ বাঁচতে পারে সে পদক্ষেপও নেব’, যোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা প্রকৃতি ও পরিবেশকে রক্ষা করবো। পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদনের দিকেও আমাদের বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।
যার যেখানে যে জমি রয়েছে বা পরিত্যক্ত জমিতে তিনি ফসল ফলানোর মাধ্যমে করোনার প্রাদুর্ভাবে বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দিলে তা মোকাবেলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় এসময় তিনি দেশের মানুষের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাসস/এএসজি-এফএন/২১২০/-কেএমকে