বাসস দেশ-৭ : বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে শিশু-কিশোরদের বক্তৃতানুষ্ঠান

130

বাসস দেশ-৭
বঙ্গবন্ধু-শিশু বক্তৃতা
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে শিশু-কিশোরদের বক্তৃতানুষ্ঠান
ঢাকা, ১৩ আগস্ট ২০১৮ (বাসস) : শিশু-কিশোররা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে নিজেদের গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, দেশের সকল শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তাঁর ত্যাগ-তিতীক্ষার আলোকে নিজেদের গড়ে তোলা প্রয়োজন। তাহলেই তারা ভবিষ্যতে সুনাগরিক ও দেশপ্রেমী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারবেন।
আজ বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিশু-কিশোর বক্তৃতানুষ্ঠানে বিভিন্ন কলেজ ও উচ্চবিদ্যালয়ের শিশু-কিশোররা তাদের ভাষণে এই বক্তব্য রাখেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় কবি ও বাংলা একাডেমির ফেলো আসাদ চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালক ছিলেন গবেষক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুভাষ সিংহ রায়। এতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৫ জন শিশু-কিশোর নির্ধারিত বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী ইকরা বিনতে আজাদ বলেন, টুঙ্গিপাড়ার মধুমতি নদীর পার দিয়ে হেঁটে-খেলে,সেখানকার প্রকৃতির কোলে বিচরণ করে যে খোকা ছোটবেলাতেই সকলের মনকে জয় করেছিলেন-তিনি হচ্ছেন আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙলির স্বাধীনতার জন্য তিনি আপসহীন আন্দোলন করেছেন এবং নিজে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। তার আদর্শে আমরা গড়ে উঠতে চাই।
ঢাকার লিবার্টি কলেজের ছাত্রী রাহাত আরা ইয়াসমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু মহাত্মা গান্ধী, নেলসন মান্ডেলা,কামাল আতাতুর্কের মতো বিশ্ব নেতা। বিশ্বের কয়েকজন শ্রেষ্ঠ নেতার একজন বঙ্গবন্ধু। তাই তাকে শুধুই বাংলাদেশের নেতা বলা ঠিক নয়। আমরা শিশুরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে উঠবো।
টঙ্গিবাড়ি স্কুলের ছাত্রী রাফিয়া আফকাত বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ঘটনা এ দেশের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম ঘটনা। এই শোক কোনদিন মুছবে না আমাদের অন্তর থেকে। যারা এই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে,তারা মানবজাতির ইতিহাসে চিরকালই নিকৃষ্ট হিসেবে বিবেচিত হবে।
চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী রীতা রানী বৃষ্টি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মে বাংলাদেশ, বাঙালি ও এই দেশের মাটি ধন্য। তিনি আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। তিনি অনন্তকাল আমাদের হৃদয়ে আসন নিয়ে থাকবেন।
ঢাকার লিবার্টি কলেজের ছাত্র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের বন্ধু ছিলেন। গরীবদের সাহায্য করতেন। নিজেদের গোলার ধান-চাল বিলিয়ে দিতেন অসহায় মানুষকে। আমরা তার জীবনী থেকে এ সব জেনেছি।
কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, আজকে তোমরা যারা শিশু, আগামী দিনে তোমরাই দেশ পরিচালনা করবে। বঙ্গবন্ধু বয়স্কদের কাছ থেকে বুদ্ধি-পরামর্শ নিতেন,তরুণদের দিয়ে দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখতেন। বঙ্গবন্ধুর এই চাওয়া বাস্তবে রুপ নেবে তোমাদের মাধ্যমে। তোমরাই একদিন দেশ পরিচালনা করবে। তিনি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর লেখা বই ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘অসমাাপ্ত আত্মজীবনী’ পাঠ করার আহবান জানান।
বাসস/এএসজি/এইচএ/১৫৫২/-শহক