চট্টগ্রামে মৃত্যুশূন্য চতুর্থদিনে করোনা শনাক্ত ৬৭ নমুনায়

259

চট্টগ্রাম, ৩ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : মৃত্যুশূন্য টানা চতুর্থ দিনে চট্টগ্রামে নতুন ৬৭ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ২৯ ডিসেম্বর দুইজনের মৃত্যুর পর গত চারদিন জেলায় করোনাক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। অথচ এর আগের তিনদিনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। ডিসেম্বর মাসে মোট ৩৮ করোনা রোগী মারা যায়। চট্টগ্রামে এর চেয়ে কম সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২১ নভেম্বর ৬৪ জন। এদিন সংক্রমণ হার ছিল ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং করোনাক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। গেল ডিসেম্বরে সর্বনি¤œ সংক্রমণ চিহ্নিত হয় ১২ ডিসেম্বর। এদিন সংক্রমণ হার ছিল ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং করোনাক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়। সংখ্যা ও হারে এটাই ছিল চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সর্বনি¤œ অবস্থান।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল শনিবার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর পাঁচটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ১৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৬৭ জন বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬৩ জন এবং চার উপজেলার ৪ জন। ফলে এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩০ হাজার ৬২৮ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৩ হাজার ৭১০ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৯১৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, সীতাকু- ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় এ অঞ্চলে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩৫৯ জনই রয়েছে। এর মধ্যে শহরের ২৫৬ জন ও গ্রামের ১০৩ জন। সুস্থতার সনদ দেয়া হয় ৬৩ জনকে। ফলে জেলায় মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৯ হাজার ৫৮১ জনে। এদের ৩ হাজার ৯০৫ জন হাসপাতালে ও ২৫ হাজার ৬৭৬ জন বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। কোয়ারেন্টাইনে গতকাল যুক্ত হন ২৮ জন, ছাড়পত্র নেন ৩৭ জন। বর্তমানে ১ হাজার ৩৫৮ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৫৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৭ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৩১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১০ টিতে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মেলে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ২৫ টি নমুনার ১৪ টিতে এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১৪ টি নমুনার মধ্যে ৩ টিতে করোনার জীবাণু মেলে। এদিন চট্টগ্রামের মাত্র একটি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় এটির ফলাফল নেগেটিভ আসে। তবে নগরীর অপর তিন ল্যাবরেটরি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ১৯ শতাংশ, চমেকে ৬ দশমিক ৯৯, আরটিআরএলে ৩২ দশমিক ২৬, শেভরনে ৫৬, মা ও শিশু হাসপাতালে ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে শূন্য শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।