চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ বেশি : মৃত্যু শূন্য

446

চট্টগ্রাম, ২ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে এসময়কালে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১১৭ জনের দেহে করোনা জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ।
অন্যদিকে, করোনাক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন ১৩৮ জন। তবে, করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে শুক্রবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১১৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ জন ও আট উপজেলার ২৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে চন্দনাইশে সর্বোচ্চ ১০ জন, মিরসরাইয়ে ৪ জন, পটিয়া ও সাতকানিয়ায় ৩ জন করে, হাটহাজারীতে ২ জন, সীতাকু-, আনোয়ারা ও লোহাগাড়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩০ হাজার ৫৬১ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৩ হাজার ৬৪৭ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৯১৪ জন।
গতকাল করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩৫৯ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২৫৬ জন ও গ্রামের ১০৩ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৩৮ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৫১৮ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৮৯২ জন, ঘরে থেকে ২৫ হাজার ৬২৬ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩২ জন, ছাড়পত্র নেন ২৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৬৩ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৬৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৬৭ জনের নমুনার মধ্যে ৩৫ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১০২ টি নমুনার ১১ টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ১০০ নমুনায় ২৬ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮২ টি নমুনার মধ্যে ১৪ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩১ টির ৩ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ৫০ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ, চমেকে ৯ দশমিক ৫৪, সিভাসু’তে ১০ দশমিক ৭৮, শেভরনে ২৬, ইম্পেরিয়ালে ১৭ দশমিক ০৭ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।