বাসস দেশ-২০ : করোনায় ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ১৭ জন, সুস্থ ১,১৯৭

179

বাসস দেশ-২০
করোনা-আপডেট
করোনায় ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ১৭ জন, সুস্থ ১,১৯৭
ঢাকা, ১ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৯৭ জন।
গতকালের চেয়ে আজ ১১ জন কম মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ২৮ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ হাজার ৫৭৬ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৯৭ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৬৫৬ জন।
আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৮৯ দশমিক ০৮ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ০৭ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১২ হাজার ১০৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৯০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১৩ হাজার ২৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ১৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ৭০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার ২৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪৭টি হয়েছে সরকারি এবং ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬৫৪টি হয়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৫ দশমিক ৯১ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৭৫ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৩ হাজার ২০৪ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ১২৯টি নমুনা কম সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সরকারি ১১৫ ও বেসরকারি ৬৫টিসহ ১৮০টি পরীক্ষাগারে (এন্টিজেন টেস্টসহ) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ১০৩ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৩ হাজার ২৫৪ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার ১৫১টি কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ৩০২১ দশমিক ০২ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ২৬৯৩ দশমিক ১২ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৪৪ দশমিক ৪৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ১৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ জন, আর নারী ৭ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৭৬৪ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৮১২ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ০৮ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ১৬ জন হাসপাতালে এবং ১ জন বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১২ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৫ জন; যা দশমিক ৪৬ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৫৭ জন; যা দশমিক ৭৫ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৫৯ জন; যা ২ দশমিক ১০ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৭৮ জন; যা ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৮৮৯ জন; যা ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৯২০ জন; যা ২৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ৪ হাজার ১৩৮ জন; যা ৫৪ দশমিক ৬২ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে ২ জন করে এবং রংপুর বিভাগে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৪ হাজার ১৬৩ জন; যা ৫৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৪১২ জন; যা ১৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৪৩৩ জন; যা ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৫৩২ জন; যা ৭ দশমিক ০২ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২৩৮ জন; যা ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৯১ জন; যা ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ৩৪০ জন; যা ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৬৭ জন; যা ২ দশমিক ২০ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ২৬৯টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪১৪ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ৮৫৫টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩১০টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ২০২ জন ও শয্যা খালি আছে ১০৮টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬৮৭টি, ভর্তিকৃত রোগী ২২০ জন ও শয্যা খালি আছে ৪৬৭টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৪৫টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ১৯ জন ও শয্যা খালি আছে ২৬টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬ হাজার ৫৩৯টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৫২৩ জন ও শয্যা খালি আছে ৬ হাজার ১৬টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২৪৭টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৮৩ জন ও শয্যা খালি আছে ১৬৪টি। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১০ হাজার ৪৯৫টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ১৫৭ জন এবং শয্যা খালি আছে ৮ হাজার ৩৩৮টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৬০২টি, রোগী ভর্তি আছে ৩০৪ জন এবং খালি আছে ২৯৮টি। সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৯৫টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৭১৬টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৬২১টি, আইসিইউ বেড ৬৮৮ ও ভেন্টিলেটর ৬২০।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd এর CORONA কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ১ হাজার ১৯৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৮৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯২ জন, রংপুর বিভাগে ৬০ জন, খুলনা বিভাগে ১৮ জন, বরিশাল বিভাগে ২৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৭ জন, সিলেট বিভাগে ২৩ জন এবং ময়মনসিংহে ১১ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫৯৪ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৬২ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৪ হাজার ৬২৯ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৮৪৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৮ হাজার ৭৮৫ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ১২৭ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ১৭৯ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৪৫৬ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৪৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৪০৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৬ হাজার ২৪২ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৮৯০ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৮৯টি, ৩৩৩ এই হটলাইন নম্বরে ৪ হাজার ৭৩০টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ১১২টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২৩১টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ৩২ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৬টি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৯ লাখ ৬১ হাজার ৯২২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩২ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩ জন এবং ১৭ লাখ ৯৮ হাজার ৫০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বাসস/এএসজি/এমএসএইচ/১৯৩৫/-এএএ