বাসস দেশ-১২ : চট্টগ্রামে করোনায় ডিসেম্বরে ৩৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫ হাজারের বেশি

120

বাসস দেশ-১২
চট্টগ্রাম-কোভিড
চট্টগ্রামে করোনায় ডিসেম্বরে ৩৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫ হাজারের বেশি
চট্টগ্রাম, ১ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস): গত ডিসেম্বরে মাসে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে চট্টগ্রামে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ৪৫ হাজার ৯৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ হাজার ১১১ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে দেয়া নিয়মিত রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ মাসে গড়ে দৈনিক সংক্রমণ হার ছিল ১০ দশমিক ৮৫।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত মাসে ৩১ দিনের মধ্যে চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুশূন্য ছিল ৮ দিন। অবশিষ্ট ২৩ দিন এক বা একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ২১ ও ২৫ ডিসেম্বর দুই দিন ৩ জন করে মারা যান। এগারো দিন ২ জন করে মৃত্যুবরণ করেন। অবশিষ্ট ১০ দিন একজন করে মারা যান। দৈনিক গড় মৃত্যু হার ১ দশমিক ২৩ শতাংশ।
নগরীর সরকারি-বেসরকারি আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গত মাসে ৪৫ হাজার ৯৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সর্বোচ্চ ১৮৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় ২৯ ডিসেম্বর। এদিন ২ জনের মৃত্যু ও ১২৬ জন নতুন বাহক শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ছিল ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আরো তিনদিন ২, ১৪ ও ২৮ ডিসেম্বর ১৮ শ’র বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়। সবচেয়ে কম নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৭ ডিসেম্বর। এদিন ১ হাজার ২৩৭ জনের নমুনায় ৭৯ জনের দেহে করোনা পাওয়া যায়। সেদিন একজনের মৃত্যু হয় এবং সংক্রমণ হার ছিল ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। সংখ্যার বিচারে আরো পাঁচদিন ১৩ শ’র নিচে নমুনা পরীক্ষা হয়। ১৩ ডিসেম্বর ১২৪৫ জন, ৫ ডিসেম্বর ১২৫৫ জন, ৪ ও ১৯ ডিসেম্বর ১২৬২ জন করে এবং ১৮ ডিসেম্বর ১২৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়।
সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয় ১২ ডিসেম্বর ৭৮ জন। এদিন ১৩২৯ টি নমুনা পরীক্ষা হয়। একজনের মৃত্যু হয়। গত মাসে সর্বনি¤œ সংক্রমণ হার ছিল ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শনাক্ত রোগী একশ’র নিচে ছিল আরো দু’দিন। ১৭ ডিসেম্বর ৭৯ জন ও ১৯ ডিসেম্বর ৯৬ জন। সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় ১৪ ডিসেম্বর ২৮৫ জন। এদিনের সংক্রমণ হার ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। নমুনা পরীক্ষা হয় ১৮০২ টি, মৃত্যু হয় ১ জনের। দুই শতাধিক বাহক চিহ্নিত হন আরো সাত দিন। এর মধ্যে মাসের প্রথম দিন ২৬০ জনের নমুনায় ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন একজন মারা যান, সংক্রমণ হার মাসের সর্বোচ্চ ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। নমুনা পরীক্ষায় ছিল ১৩৯০ টি।
ডিসেম্বর মাসের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বাসস’কে বলেন, ‘ডিসেম্বর-জানুয়ারি এ দুই মাসকে আমরা করোনার ডেঞ্জার পিরিয়ড হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছি। গেল মাসে মৃত্যু, আক্রান্তের সংখ্যা ও হার আমাদের আশঙ্কার চেয়ে কম। এটি মহান আল্লাহ তা’য়ালার বিশেষ রহমত। জানুয়ারি মাসে শীত আরো বাড়বে। এ সময়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। এখনই স্বস্তি বা সন্তুষ্টির সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হবে। অধিক জনসমাগমের সুযোগ দেয়া যাবে না। অপ্রয়োজনীয় অনুষ্ঠানাদি পরিহার করতে হবে।’
বাসস/জিই/কেএস/১৭১০/-শআ