বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : মন্ত্রিসভায় মহাসড়ক আইন-২০২০ এর খসড়ার নীতিগতভাবে অনুমোদিত

147

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-মন্ত্রিসভা-আইন
মন্ত্রিসভায় মহাসড়ক আইন-২০২০ এর খসড়ার নীতিগতভাবে অনুমোদিত

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দেশে সামরিক শাসন বলবৎকালীন জারিকৃত অর্ডন্যান্সগুলো বাতিলে হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে ‘মোংলা পোর্ট অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬’ এর পরিবর্তে নতুন এই আইনটি নিয়ে আসা হয়েছে। এর আগে পায়রা বন্দর আইন যেমনটি হয়েছে অনেকটা সেরকমই এই আইনটি।
এই আইনে যে নতুন বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-প্রয়োজনে দেশের যে কোন স্থানে কতৃর্পক্ষের কার্যালয় স্থাপনের বিধান, কতৃর্পক্ষের দায়িত্ব পালনের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠনের বিধান, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বন্দরের বিভিন্ন স্থান ও স্থাপনাকে সংরক্ষিত রাখার বিধান এবং বন্দরে পণ্য বোঝাই, খালাস, সংরক্ষণের এবং সরবরাহের জন্য প্রয়োজন বোধে প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ পূর্বক অপারেটর নিয়োগের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
সচিব বলেন, বন্দরের কোন স্থাপনা বা সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত মেয়াদ, শর্ত ও পদ্ধতিতে অনুমতি প্রদানের বিধান সন্নিবেশিত করা হয়েছে (যে বিধান আগে ছিল না, আগে সরকারই পরিচালনা করতো। এখন সরকার আউট সোর্সিং করতে পারবে বা টেন্ডারের মাধ্যমে ব্যক্তিখাতে দিতে পারবে), টোল, রেট ইত্যাদি ফাঁকির জন্য দন্ড, কোম্পানী কতৃর্ক অপরাধ সংগঠন, ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ-প্রভৃতি।
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘টোল, রেট ইত্যাদি ফাঁকির জন্য দন্ড, কোম্পানির অপরাধ সংগঠন, ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ-এগুলো রাখা হয়েছে। এখানে যে অপরাধ হবে সেগুলো ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বিচার হবে। মোবাইল কোর্টেরও বিধান রাখা হয়েছে।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘গ্যাস নেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে ২০ ইঞ্চি ব্যসার্ধের গ্যাসলাইনে কাজ হচ্ছে না। আমাদের ৩০ ইঞ্চি লাগবে। এ জন্য নতুন লাইন করা হচ্ছে। এই গ্যাসলাইন যাবে নতুন যে রেল ব্রিজ হচ্ছে সেটার ওপর দিয়ে। এরপর স্টেশন থেকে বিতরণ করা হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তাছাড়া আগের আইনের কিছু ধারা যেগুলো এখন আর প্রযোজ্য নয় সেগুলো বাতিল করা হয়েছে।
‘সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মহাসড়ক ল্যান্ডস্কেপিং নীতিমালা-২০২০’এর খসড়ার অনুমোদন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভূপ্রকৃতির সাথে মানানসই পরিবেশ, ঐতিহাসিক ভবন, প্রতœতাত্বিক ঐতিহ্য, জীব বৈচিত্র সব কিছুই ল্যান্ডস্কেপিং এর সাথে সমন্বয় রেখে সংরক্ষণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বনাঞ্চলে মহাসড়ক করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম বৃক্ষ অপসারণের বিষয়টি বিবেচেনায় রাখতে হবে। বন্য প্রাণির যাতায়াতের এলাকা রাখতে হবে, একটি গাছ কাটলে পাঁচটি গাছ লাগাতে হবে।
বাসস/এএসজি-এফএন/১৯৩১/আরজি