চট্টগ্রামে নতুন ১৫৪ জন করোনা আক্রান্ত, ১ রোগীর মৃত্যু

282

চট্টগ্রাম, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে নতুন ১৫৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণের হার ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এদিন করোনায় একজনের মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর ৮টি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১৫৪ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৩৯ জন ও ৫ উপজেলার ১৫ জন। এরমধ্যে হাটহাজারীতে ৭ জন, সীতাকু-ে ৩ জন, আনোয়ারা ও পটিয়ায় ২ জন করে এবং বোয়ালখালীতে ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ২৯ হাজার ৮৭৯ জন। এরমধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৩ হাজার ৮০ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৭৯৯ জন।
গতকাল করোনা আক্রান্ত এক রোগী মারা যান। মৃতের সংখ্যা এখন ৩৫৫ জন। এতে শহরের ২৫৪ জন ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৩১ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২৮ হাজার ৮৯৩ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৮৩৬ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে ২৫ হাজার ৫৭ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ২৫ জন, ছাড়পত্র নেন ২৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৩২৬ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৮০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩০ জন করোনার জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২৭৯ জনের নমুনার মধ্যে ৮ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ১১৭ জনের নমুনায় ৩২ জন ভাইরাসবাহক চিহ্নিত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৫৮ টি নমুনা পরীক্ষায় ৫ টিতে জীবাণু থাকার প্রমাণ মেলে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৩২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১২ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১০৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩১ টি, শেভরনে ৮৩ টিতে ২৬ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩১ টি নমুনার ১০ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ৮৭ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে জানা যায়, বিআইটিআইডি’তে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ, চমেকে ২ দশমিক ৮৭, চবি’তে ২৭ দশমিক ৩৫, সিভাসু’তে ৮ দশমিক ৬২, আরটিআরএলে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, ইম্পেরিয়ালে ২৮ দশমিক ৯৭, শেভরনে ৩১ দশশিক ৩২ শতাংশ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৩২ দশমিক ২৬ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।