ইরি-বোরো মৌসুমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি বীজতলা তৈরি

343

যশোর, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চলতি মওসুমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় ১৯ হাজার ৩৩৩ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরোর বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ১৩১ হেক্টর বেশি। জেলাগুলি হচ্ছে- যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় ১৭ হাজার ২০২ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বীজতলা তৈরি হয়েছে ১৯ হাজার ৩৩৩ হেক্টর জমিতে। রোপা আমনের বাম্পার ফলনের পর ইরি-বোরোর বীজতলা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বর্তমানে ধানের বাজার মূল্য বেশি পাওয়ায় ইরি-বোরো আবাদে উৎসাহ নিয়ে ঝুঁকে পড়েছেন তারা। কৃষকের উৎসাহে ধান উৎপাদনের ধারাবাহিকতায় ইরি-বোরো মৌসুমে যশোরাঞ্চলে বীজতলা তৈরিতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
যশোরাঞ্চলের কৃষি সসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন জানান, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় ইরি-বোরো আবাদের বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ২০২ হেক্টর জমিতে। এ বছর যশোরাঞ্চলের ৬ জেলায় ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ১৩১ হেক্টর বেশি জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। রোপা আমনে লাভবান হওয়ায় ইরি-বোরো আবাদকে সামনে রেখে ১৯ হাজার ৩৩৩ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে বীজতলায় বীজ ছিটানোর কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে এবং অঙ্কুরোদগম হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যেসব জমিতে রবিশস্য আবাদ হচ্ছে না সেসব জমিতে প্রথম দিকে পৌষ মাসেই যাতে ধান রোপণ করা যায়, সেজন্য দ্রুতগতিতে বীজতলা তৈরির কাজ করে চলেছেন কৃষকরা।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলায় বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে, ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে ৮ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। ঝিনাইদহে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৭৭২ হেক্টর জমিতে, অর্জিত হয়েছে ৪ হাজার ৪৯৫ হেক্টর জমিতে, মাগুরায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৮১৯ হেক্টর জমিতে, অর্জিত হয়েছে একহাজার ৯৫৭ হেক্টর জমিতে, কুষ্টিয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৬২৪ হেক্টর জমিতে, অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ৭৯৪ হেক্টর জমিতে, চুয়াডাঙ্গায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৫৬৪ হেক্টর জমিতে, অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ৯২৭ হেক্টর জমিতে এবং মেহেরপুর জেলায় বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২৩ হেক্টর জমিতে, অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে।
বাঘারপাড়া উপজেলার মহিরন গ্রামের কৃষক আবুল হাসান জানান, তার গ্রামসহ আশেপাশের গ্রামের আবাদি জমির জন্য এরই মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ইরি-বোরো বীজতলায় বীজ ছিটানো হয়েছে, যা আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে বীজতলা থেকে বীজ তুলে জমিতে লাগানো সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ইরি-বোরো বীজের মূল্য কৃষকের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। ফলে এলাকায় ইরি-বোরো বীজের কোনো সংকট নেই।