বাসস দেশ-২৪ : দেশকে নিরাপদ করতে বঙ্গবন্ধু হত্যার ধারকদের রাজনীতি থেকে নির্বাসন দিতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

144

বাসস দেশ-২৪
তথ্যমন্ত্রী-বঙ্গবন্ধু-স্মৃতিভাস্কর্য
দেশকে নিরাপদ করতে বঙ্গবন্ধু হত্যার ধারকদের রাজনীতি থেকে নির্বাসন দিতে হবে : তথ্যমন্ত্রী
খুলনা, ১২ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে নিরাপদ করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার রাজনীতির ধারক বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া, জামায়াতকে বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ, নির্বাচনের বাইরে নির্বাসন দিতে হবে।’
আজ রোববার দুপুরে খুলনায় বাংলাদেশ বেতার কার্যালয় প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিভাস্কর্য উম্মোচনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, খুলনার সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে বাংলাদেশ আজ আলোর পথে হাঁটছে, তাকে আর পেছনে যেতে দেবো না। দেশে আজ সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মাপকাঠি দিয়ে বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। পরীক্ষায় পাস করলে তা গ্রহণ করবো, নইলে তা প্রত্যাখ্যান করবো।’
ইনু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আত্মা। বঙ্গবন্ধু হত্যা হাজার বছরের ইতিহাসে সবচাইতে বড় ট্র্যাজিডি, শোকাবহ ঘটনা। হাজার বছরের ইতিহাসের সবচাইতে জঘন্য বিশ্বাসঘাতকতা, বেঈমানী। সবচাইতে ঘৃণ্য পৈশাচিক রাজনৈতিক হত্যাকান্ড।’
‘মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের আত্মাকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। খালেদা জিয়া, বিএনপি, জামায়াত বঙ্গবন্ধুকে হত্যার রাজনীতি বহন করছে, তাই বাংলাদেশ রাষ্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জারি রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হলেন বাংলাদেশের এপিঠ-ওপিঠ। বঙ্গবন্ধু একটি পতাকা, তিনি একটি দেশ, তিনি একটি রাষ্ট্র, তিনি এক বিপ্লব, তিনি একটি অভ্যুত্থান। বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের দোসরদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হলেন বাংলাদেশের সমার্থক। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ অবিচ্ছিন্ন-অবিভক্ত। তিনি বিশ্বনেতা, শ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদ ও দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলেন আমাদের মাথার ছাতা।’
তথ্য সচিব আব্দুল মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশের পতাকা আজ মহাসাগর থেকে মহাকাশ পর্যন্ত বিস্তৃত। সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আজ দেশের সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের এই পথচলাকে কেউ রুদ্ধ করতে পারবে না।’
বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল বলেন, বাংলাদেশ বেতারের উদ্দেশ্য হলো গণতন্ত্র সমুন্নত রেখে সরকারের উন্নয়ন প্রচার করা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা।
অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার মো. রকিবুল ইসলাম, বাংলাদেশ বেতারের উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) হোসনে আরা তালুকদার, প্রধান প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান, উপ-মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) সালাউদ্দীন আহমেদ এবং পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) খান মো. রেজাউল করিমসহ বেতারের সব কর্মকর্তা ও কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বেতারের কর্মসূচি পরিচালক মো. জাকির হোসেন।
খুলনা বেতারের সামনে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিভাস্কর্যে স্কাল্পচার বেইজ, এক্সিভিশন গ্যালারি, এম্ফি থিয়েটার, ফাউন্টেন, গ্রিন্ডল্যান্ড স্কেপিং, ইন্টারনাল রোড, প্লান্টার বক্স, ফ্লাওয়ার বেড, মডেল অব ট্রাকচার, স্কাল্পচার, আর্ট ওয়ার্ক, স্টোরেজ ও ভাস্কর্য বেদির চারদিকে ব্রোঞ্জের নকশায় বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ বেতারের সহযোগিতায় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে খুলনা গণপূর্ত বিভাগ ৮ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছে।
বাসস/সবি/এমএন/১৯১০/কেএমকে