নিউক্যাসলকে হারিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এলো ম্যানচেস্টার সিটি

395

লন্ডন, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ (বাসস) : নিউক্যাসলকে শনিবার ২-০ গোলে পরাজিত করে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর এই জয়ে সিটি বস পেপ গার্দিলা আবারো শিরোপা লড়াইয়ে লিভারপুলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবার ব্যপারে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের থেকে এই মুহূর্তে পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে সিটিজেনরা।
বৃষ্টি ও প্রচন্ড বাতাসের মধ্যে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে কাল মাঠে ঠিকে থাকাই কষ্টকর হয়ে উঠেছিল। যদিও উভয় অর্ধে ইকে গুনডোগান ও ফেরান টোরেসের দুই গোলে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিকরা। এর মাধ্যমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা ১০ ম্যাচে অপরাজিত থাকলো সিটি।
এবারের মৌসুমে সিটির গোল খরা প্রথম থেকেই চোখে পড়েছে। কিন্তু গার্দিওলার অধীনে আরো একবার রক্ষনভাগের শক্তিমত্তা ঠিকই প্রমান করেছে সিটিজেনরা। ১০ ম্যাচে কোন গোল হজম করেনি গার্দিওলার শিষ্যরা। কাল অবশ্য নিউক্যাসলের কাছ থেকে পুরো ম্যাচেই তেমন কোন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি স্বাগতিকদের। বিশেষ করে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা কালুম উইলসন ইনজুরির কারনে বদলী বেঞ্চে থাকায় নিউক্যাসলকে দেখে মনে হয়েছে ম্যাচটা কোন মতে শেষ করাটাই তাদের মূল লক্ষ্য।
ম্যাচ শেষে গার্দিওলা বলেছেন, ‘এবারের মৌসুমটা সকলের জন্যই কিছুটা ভিন্ন। বেশ কিছু অস্বস্তিকর ফলাফলে দলগুলো নিজেদের ওপর অনেক সময়ই আস্থা হারিয়েছেন। তবে আমার মনে হয় এবার বিভিন্ন পরিস্থিতিতে শান্ত থাকাটাই সব দলের জন্য জরুরী। আমরা ধীরে ধীরে উন্নতি করছি, যার প্রভাব ম্যাচে ইতোমধ্যেই পড়েছে।’
ম্যাচ শুরুর আগে কাইল ওয়াকার ও গ্যাব্রিয়েল জেসুস কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ছিল সিটিজেনরা। শুক্রবার এই দুই খেলোয়াড়ের সাথে দুজন সাপোর্ট স্টাফের দেহে করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়ে। যদিও জেসুস ও ওয়াকারের অনুপস্থিতি পুরো ম্যাচে খুব কমই অনুভূত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে অবশ্য এভারটন ও চেলসির বিপক্ষে দুটি কঠিন ম্যাচ খেলতে হবে সিটিকে। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের সাথে সমান তালে লড়াই চালাতে হলে এই দুটি ম্যাচে জয় পাওয়াটা জরুরী। গার্দিওলা বলেন, ‘আমরা ম্যাচের আবহ বুঝে আজ খেলেছি। আমরা এমন একটি দল যারা অনেক পাসে খেলে সঠিক মুহূর্তে আক্রমন করতে পছন্দ করি। আজ আমাদের পজিশনগুলোও একেবারে নিখুঁত ছিল। দূর্ভাগ্যবশত: আমরা বেশী গোল করতে পারিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিন পয়েন্ট অর্জিত হয়েছে।’
শেষ হোম ম্যাচে গুনডোগানের প্রথম গোল সত্বেও ওয়েস্ট ব্রুমের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছিল সিটি। কিন্তু এবার আর তার পুনরাবৃত্তি ঘরেটি। রাহিম স্টার্লিংয়ের পাস থেকে জার্মান মিডফিল্ডার গুনডোগান ১৪ মিনিটে সিটিজেনদের এগিয়ে দেন। সাম্প্রতিক সময়ে আক্রমনভাগে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে কেভিন ডি ব্রুইনা। কিন্তু তারপরেও সিটির জয়যাত্রা ঠিকই অব্যাহত ছিল। বেলজিয়ান এই তারকা এখনো পর্যন্ত এবারের মৌসুমে পেনাল্টি ছাড়া কোন গোল করতে পারেননি। বিরতির আগে তার একটি প্রচেষ্টা নিউক্যাসেল গোলরক্ষক কার্ল ডারলো রুখে দিলে ব্যবধান দ্বিগুন করতে পারেনি সিটি।
শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে সিটি গুরুত্বপূর্ণ গোলটি পায়। হোয়াও ক্যান্সেলোর লো ক্রসে টরেস সহজ ফিনিশিংয়ে সিটিকে জয়সূচক গোলটি উপহার দেন।
এনিয়ে এবারের লিগে ১৪ ম্যাচে মাত্র তৃতীয়বারের মত সিটি একটির বেশী গোল দিতে পেরেছে। যদিও কাল ম্যাচের শেষের দিকে বার্নান্ডো সিলভা ও বদলী খেলোয়াড় সার্জিও এগুয়েরোর গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট হওয়ায় স্কোরলাইন সমৃদ্ধ করা হয়নি গার্দিওলার দলের।