নওগাঁ’র মান্দা উপজেলার কালিগ্রামে পিঠামেলা আয়োজকদের দারুনভাবে উৎসাহিত করেছে

497

নওগাঁ, ২৬ ডিসেম্ব,’২০২০ (বাসস): জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল মান্দা উপজেলাধীন কালিগ্রাম গ্রামে আয়োজন করা হয় দিনব্যপী এক গ্রামীন পিঠা উৎসবের। মান্দা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল ছাড়াও রাজশাহী ও নওগাঁ জেলা সদর থেকেও অনেকে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে পরিদর্শনে আসেন এ পিঠা উৎসব। জনসমাগমে সারাদিন উৎসবমুখর হয়ে ছিল কালিগ্রামের শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগার-এর অংগন।
মান্দা উপজেলার ঐতিহ্যবাহি শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম গ্রামের মহিলাদের উৎসাহিত করে দিনব্যপী এ পিঠা মেলার আয়োজন করেন। তিনি বলেছেন বিশেষ করে করোনার সময় গৃহকোণে অবরুদ্ধ থেকে মহিলাারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরন ঘটিয়ে তাদের পুনারয় মানসিকভাবে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এ পিঠা মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
এ আয়োজনকে ঘিরে কালিগ্রামসহ আশে পাশের গ্রামগুলোতে উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হয়। এসব গ্রাম থেকে কমপক্ষে ২৪টি ষ্টলে শতাধিক মহিলা, কিশোরী ও তরুণীরা তাঁদের তৈরী পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন।
এসব ষ্টলে কুশলী পিঠা, গকুল পিঠা, পাটিসাপ্টা, গোলাপ ভেজা, ভাপা, পুলি, পুতি পিঠা, চিতই পিঠা, ঝিনুক পিঠা, ইলিশ পিঠা, আখ্যা পিঠা, মরিচ পিঠা, চালকুমড়া ও গাজরের হালুয়া, লবঙ্গ পিঠা, ডিম পিঠা, তাল পিঠা, মুঠা, গড়গড়াসহ প্রায় ৫০ রকমের পিঠার সমাহার ঘটে।
মেলায় আগত দর্শকবৃন্দ পিঠার বিভিন্ন ষ্টল ঘুরে ঘুরে মেলা পরিদর্শন করছেন। আবার তাঁদের পছন্দমত পিঠা কিনে খাচ্ছেন। বিভিন্ন ষ্টলে পিঠা বিক্রেতারা তাঁদের কারুকার্য খচিত গ্রামীণ এতিহ্যমন্ডিত এসব পিঠা প্রদর্শন করতে পেরে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
শনিবার সকাল ১১টায় দিনব্যপী এ পিঠা মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিক্ষা অডি অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক এ এইচ এম শামসুর রহমান। মেলার উদ্বোধন করে তিনি বলেছেন পিঠা তৈরী গ্রামীণ মহিলাদের আবহমান গ্রাম বাংলার নিজস্ব ঐতিহ্য। তিনি গ্রাম বাংলার এমন একটি পিঠা মেলায় আসতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত । ই আয়োজনকে সময়োপযোগী উল্লেখ করে প্রতি বছর এ উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।