বাসস দেশ-১৬ : স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর শহীদ কাদিরের জন্মভিটায় স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন

268

বাসস দেশ-১৬
শহীদ কাদির-স্মৃতিস্তম্ভ
স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর শহীদ কাদিরের জন্মভিটায় স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন
ঢাকা, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর জন্ম ভিটায় লে. কর্নেল মুহম্মদ আব্দুল কাদিরের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের চিকলী নদীর তীরে ওই স্মৃতিস্তম্ভ কাজের উদ্বোধন করেন রংপুর-২(বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনের এমপি আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক।
এ সময় শহীদ আব্দুল কাদিরের পুত্র বিশিষ্ট সাংবাদিক নাদীম কাদির, উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি সুইটসহ মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে শহীদ লেফট্যানেন্ট কর্নেল মুহম্মদ আব্দুল কাদির। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তার নামেই নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসের নামকরণ করা হয়। ১৯২৯ সালের ২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন কর্নেল কাদির। ১৯৪৯ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। চট্রগ্রামের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ৭০ নম্বর সরকারি বাড়িতে পরিবারসহ বসবাস করতেন তিনি। পাকিস্তানী সেনারা জানতে পেরে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় তাকে। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন কর্নেল কাদির। ৩৬ বছর পর ২০০৭ সালে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে বাবার কবর খুঁজে পায় পুত্র সাংবাদিক নাদীম কাদির। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০১১ সালে দেহাবশেষ তার নামে করা নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পুনরায় সমাহিত করা হয়।
স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর দেশের গর্বিত এই বীর সেনানীর জন্মভিটা বদরগঞ্জে তার নামে স্মৃতিকমপ্লেক্স ও চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন সাংবাদিক নাদীম কাদির।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ডিউক চৌধুরী বলেন, দেশের গর্বিত এই বীর সন্তানের জন্মভূমিতে স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হলে এলাকার মানুষ আলোকিত হবে। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এতদিন পর একজন বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মূল্যায়ন হলো। এ সময় তিনি তার এলাকার সকল শহীদ ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়কের নামকরণ করার উদ্যোগ নেবেন বলে জানান।
শহীদ লে. কর্নেল আব্দুল কাদিরের পুত্র বিশিষ্ট সাংবাদিক নাদীম কাদির বলেন, ‘নিখোঁজ হওয়ার ছত্রিশ বছর পর বাবার কবরের সন্ধান পাই। পরিত্যক্ত অবস্থায় কবরটি পড়ে ছিল। এই দীর্ঘ সময় বাবার কবরের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছি। বাবার কবরের স্মৃতি পেয়ে তার জন্মভিটায় স্মৃতিন্তম্ভসহ একটি কমপ্লেক্স নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’
বাসস/সংবাদদাতা/২০০৫/স্বব