পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় উন্নত প্রযুক্তির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : ড. দিমিত্রি সামোখিন

246

মস্কো, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস): রাশিয়ার পরমাণু বিশেষজ্ঞ ও পারমাণবিক শক্তি প্রকৌশল ও গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের (এমইপিএইচআই) অবিনস্ক ইন্সটিটিউটের নিউক্লিয়ার ফিজিক্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. দিমিত্রি সামোখিন বলেছেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় উন্নত প্রযুক্তির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘পারমাণবিক প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নতি হলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার অন্যতম চাবিকাঠি।’
রোসাটম আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের একদল সাংবাদিকদের সামনে অধ্যাপক ড. দিমিত্রি সামোখিন আরো বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ অন্যতম নিরাপদ একটি জ্বালানী উৎস।
তিনি এই ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার জন্যে তিনটি মৌলিক বিষয়কে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। এগুলো হলো তেজস্ক্রিয় পদার্থের হোল্ডিং, রিয়াক্টর কোর কুলিং এবং সবচাইতে জটিল অংশে তেজস্ক্রিয়তার নিয়ন্ত্রণ ও নিরীক্ষণ।
ড. দিমিত্রি সামোখিন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্যে প্রতিরোধমূলক ও জরুরী কৌশল তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জরুরী মুহূর্তে তেজস্ক্রিয়তা পরিবেশের মধ্যে ছড়ানো রোধ করতে আধুনিক প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
রাশিয়ার নির্মিত ভিভিইআর রিয়াক্টর সম্পর্কে তিনি বলেন, এই প্রযুক্তির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, এর মধ্যে এক্টিভ ও প্যাসিভ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, যাতে এটি অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক যেকোনো দুর্ঘটনা যেমন- ভূমিকম্প, হারিকেন, টর্নেডো এবং বিমান দুর্ঘটনার মতো ঘটনায় সর্বোচ্চ সহনশীল। এর আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো, কোর ক্যাচার, এতে দুর্ঘটনার সময়ে কোর মেল্টিং ও রিয়াক্টর ভেসেলকে পেনিট্রেশন করে মল্টেন রিয়াক্টর ম্যাটেরিয়ালকে লোকালাইজ করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, স্টিম জেনারেটরকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, এটি টোটাল ব্লাক আউটের সময়ে বা সম্পূর্ণ ফীড ওয়াটার শেষ হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অথবা প্রাইমারী সার্কিটে কুল্যাণ্ট লিকেজ হলে কোর মেল্টিং প্রতিরোধ করবে।
তিনি সারা বিশ্বে পারমাণবিক শক্তির উন্নয়নে রাশিয়ার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন এবং নতুন প্রজুন্মের ভিভিইআর থ্রি প্লাস রিয়াক্টিরের নিরাপত্তা ও নির্মাণ সম্পর্কে আলোচনা করেন।
ড. দিমিত্রি আরো বলেন, পারমাণবিক প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নতির ফলে পারমাণবিক বিদ্যুৎ আজ ও আগামীর অন্যতম নির্ভরযোগ্য জ্বালানী উৎস হয়ে উঠেছে।