বাসস ক্রীড়া-২ : লিগ কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি সিটি-ইউনাইটেড

120

বাসস ক্রীড়া-২
ফুটবল-লিগ কাপ
লিগ কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি সিটি-ইউনাইটেড
লন্ডন, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ (বাসস) : লিগ কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটি। বুধবার নাটকীয় ম্যাচে এভারটনকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইউনাইটেড। এ দিকে কোয়ার্টার ফাইনালের আরেক ম্যাচে স্টোককে পরাজিত করে শেষ চার নিশ্চিত করেছে টটেনহ্যাম।
গুডিসন পার্কের কোয়ার্টার ফাইনালে বুধবার ম্যাচের প্রায় পুরো সময়টা ধরেই ইউনাইটেডের আধিপত্য ছিল। কিন্তু ডেডলক ভাঙ্গতে তাদের ৮৮ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। পিএসজির সাবেক স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানির হাত ধরে ম্যাচ শেষের দুই মিনিট আগে রেড ডেভিলসরা লিড পায়। অক্টোবরে ফ্রি ট্রান্সফারের সুবিধায় ইউনাইটেডে যোগ দেবার পর এটি কাভানির চতুর্থ গোল। গত মাসে এই মাঠেই ইউনাইটেডের জার্সি গায়ে উরুগুইয়ান এই তারকা স্ট্রাইকার প্রথম গোল করেছিলেন।
স্টপেজ টাইমে এ্যান্থনি মার্শাল দলের ব্যবধান দ্বিগুন করার পাশাপাশি জয় নিশ্চিত করেন।
ইউনাইটেড ম্যানেজার ওলে গানার সুলশার ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘কাভানির শেষটা মোটেই খারাপ ছিলনা। সে এজন প্রতিভাবান স্ট্রাইকার। আমরা জানি যখন নিজেদের প্রতিরোধ করাটা সফল হয় তখন ম্যাচ জয়ের জন্য আক্রমনভাগ এগিয়ে আসে, বেশীরভাগ সময় স্ট্রাইকাররা সফলও হয়। এই মুহূর্তে দলের মানসিকতা বেশ চাঙ্গা আছে। আর এটাই বড়দিনের ছুটির আগে আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেবার পর সুলশারের ভবিষ্যত নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই ব্যর্থতা থেকে ক্রমেই বেরিয়ে আসতে পেরেছে ইউনাইটেড। এই মুহূর্তে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ তিনটি ম্যাচেই তারা জয়ী হয়েছে।
২০১৭ সালে ইউরোপা লিগে শিরোপার জয়ের পর আর কোন শিরোপা ঘরে তোলা হয়নি ইউনাইটেডের। ইউনাইটেডের হয়ে খেলোয়াড়ী জীবনে ৯টি শিরোপা জয় করা সুলশার ২০১৮ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। গত মৌসুমে তিনটি সেমিফাইনালে পরাজিত হয়ে হতাশ হতে হয়েছিল রেড ডেভিলসদের।
এবার ইউনাইটেডের সামনে সুযোগ এসেছে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাবার। বিশেষ করে শেষ চারে প্রতিপক্ষ যেখানে সিটি সেখানে নিজেদের প্রমানের তাগিদটা আরো বেশী করে অনুভব করছে সুলশার শিষ্যরা। গত মৌসুমেও এই একই পর্যায়ে সিটির কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিতে হয়েছিল ইউনাইটেডকে। সুলশার বলেছেন, ‘আমরা এখন সেমিফাইনালে, যে কারনে এ কথা বলাই যায় চূড়ান্ত সাফল্যের থেকে আর মাত্র একধাপ দুরে রয়েছি আমরা। সেমিফাইনালে পরাজিত হবার হতাশাটা ভিন্ন। এবার নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য যা কিছু করা সম্ভব আমরা সেটাই করবো।’
আরেক সেমিফাইনালে টটেনহ্যামের প্রতিপক্ষ দ্বিতীয় টায়ারের দল ব্রেন্টফোর্ড। আগামী ৪ জানুয়ারি সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
সপ্তাহের শেষে লিডসের কাছে প্রিমিয়ার লিগে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত হওয়া দলটি থেকে কাল শুধুমাত্র সুলশার বিবেচনা করেছিলেন হ্যারি ম্যাগুয়েরে ও ব্রুনো ফার্নান্দেসকে। মূল একাদশে ফিরেছিলেন পল পগবা। ম্যাচটি যখন নিশ্চিতভাবেই পেনাল্টি শ্যুটআউটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই এ্যান্থনি মার্শালের পাসে কাভানি দুর্দান্ত শটে এভারটন গোলরক্ষক রবিন ওলসেনকে পরাস্ত করেন। এরপর ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে মার্শাল দলের জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচে ভিএআর প্রযুক্তি না থাকায় বেশ কয়েকটি ঘটনা থেকে দু’দলই রক্ষা পেয়েছে।
শেষ আটের আরেক ম্যচে স্টোককে ৩-১ গোলে পরাজিত করে সেমিফাইনালে টিকিট পেয়েছে হোসে মরিনহোর টটেনহ্যাম। স্টোকের বেট ৩৬৫ স্টেডিয়ামে ওয়েলস ফরোয়ার্ড গ্যারেথ বেল মূল একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন। ২২ মিনিটে তার গোলেই এগিয়ে যায় স্পার্সরা। কিন্তু মিডফিল্ডার ডেলে আলির ভুলে ৫৩ মিনিটে জর্ডান থম্পসন স্টোকের হয়ে সমতা ফেরান। আলির কালকের এই ভুলে টাচলাইনে মরিনহো বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন। এর কয়েক মিনিট পরেই তারকা এই মিডফিল্ডারকে বদলী বেঞ্চে নিয়ে আসেন মরিনহো। ৭০ মিনিটে বেন ডেভিস ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ২০১৭ সালের পর এটাই ডেভিসের প্রথম গোল। ৮১ মিনিটে ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেনের গোলে স্পার্সদের সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হয়।
বাসস/নীহা/১৪২০/স্বব