একাত্তরের বিজয় বাঙালির অর্জনের প্রতীক : মোস্তাফা জব্বার

349

ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, একাত্তরের বিজয় বাঙালি জাতির অর্জনের প্রতীক। এই অর্জনের ৪৯ বছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে তা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখছে।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২০৩০, ২০৪১, একাত্তর কিংবা ২১০০ সালে বাংলাদেশের অগ্রগতি কোথায় পৌঁছাবে সেই রূপকল্পও প্রণীত হয়েছে। এটাই মহান বিজয়ের বাঙালির অর্জন।’
মন্ত্রী মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় বাংলাদেশ ডাক বিভাগীয় কর্মচারি ইউনিয়নের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের মানুষ তাদের আগামী দশবছরে পাকিস্তানকে উন্নয়নে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানে পৌঁছানোর স্বপ্ন নিয়ে তাদের সরকারকে এগুনোর পরামর্শ দিচ্ছেন। আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ কোথায় পৌঁছাবে সেটাও তারা জানে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর ২৪ বছরের সংগ্রামের ফসল। বঙ্গবন্ধু লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছেন। কিন্তু লাহোর প্রস্তাব পাশ কাটিয়ে ৪৭ সালের প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান যে বাঙালির জন্য নয় সেটা পাকিস্তান রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। এখনো ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এখনো বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর আঘাত হয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের হৃদয়ে গাঁথা। তাকে বাঙালির হৃদয় থেকে কখনো মুছা যাবে না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে উপনীত করেছেন। বাংলাদেশ উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে গত ১২ বছরে অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে। তিনি ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের আধুনিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা বাস্তবায়নে ডাক অধিদপ্তরের সর্বস্তরে কর্মকর্তা কর্মচারিদেরকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। ডিজিটাল ডাকঘর বাস্তবায়নের এই লক্ষ্য অর্জনে কোন অবহেলা বরদাশত করা হবে না বলে মন্ত্রী সাবধান করেন।
অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ন-সচিব জেহসান ইসলাম. ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্তি মহাপরিচালক মো. হারুনুর রশিদ, ডাক কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি মুসলেম হালদার, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান ভূইয়া বক্তৃতা করেন।