বাসস দেশ-৫ : ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরীকৃত খেজুর গুড়ের ব্যাপক চাহিদা

173

বাসস দেশ-৫
খেজুর-গুড়
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরীকৃত খেজুর গুড়ের ব্যাপক চাহিদা
ঠাকুরগাঁও, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : জেলায় প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরীকৃত গুড়ের ব্যাপক চাহিদা এখন। গুড় কিনতে প্রত্যহ ভীড় করছেন শত-শত ক্রেতা ও দর্শনার্থী। ক্রেতাদের চাহিদা মতো সরবরাহ দিতে হিমশিম খাচ্ছেন গাছিরা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বোচাপুুকুর মোহন ইক্ষু খামারের পাশে ঠাকুরগাঁও চিনিকলের একটি খেজুর বাগান রয়েছে। দীর্ঘদিন পর এবার চিনিকল কর্তৃপক্ষ খেজুর বাগানটি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে লিজ দেয় এবার। রাজশাহীর ৭ জন গাছি বাগানটি প্রথমবারের মতো লিজ নেয়। লিজ নিয়েই তারা খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরী শুরু করে। গাছের পরিচর্যাসহ রস সংগ্রহের জন্য গাছিরা এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয় করেছেন। বাগনে মোট ৬০০ খেজুর গাছের মধ্যে প্রতিদিন ৪০০ গাছ থেকে গড়ে ৫০০ লিটার রস সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে গড়ে ৮০ কেজি করে গুড় তৈরী হচ্ছে। গুড় ও রস বিক্রি করে গাছিরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
গাছি সুজন আলী জানান, প্রাকৃতিকভাবে ও নির্ভেজাল গুড় তৈরী করায় এখানকার গুড় ও রসের চাহিদা অনেক। এখানকার উৎপাদিত গুড় তাদেরকে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে হয় না। ক্রেতারা এখান থেকে রস ও গুড় কিনে নিয়ে যায়। অনেকে একসপ্তাহ আগেই রস ও গুড় নেয়ার জন্য অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখলেও তাদের অনেককে আমরা রস ও গুড় দিতে পারছি না। গাছ থেকে রস কম উৎপাদন হওয়ার কারণে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বর্তমানে এখানে এক লিটার খেজুর রস ৫০ টাকা দরে ও এক কেজি গুড় ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে আসা হুসাইন আহম্মদ নামে একজন ক্রেতা জানান, সকাল ৭টায় এসেও তিনি রস ও গুড় কিনতে পারেননি। তিনি আসার আগেই সব শেষ হয়ে গেছে। তার মতো অনেকেই গুড় কিনতে এসে ফেরত যাচ্ছেন খালি হাতে।
পঞ্চগড় জেলা থেকে আগত একদল তরুণ জানান, পঞ্চগড় থেকে ভোর ৬ টায় বাইক নিয়ে রওনা দেন তারা খেজুরের রস খাওয়ার জন্য। এখানে এসে খুব কষ্টসাধ্যে দুই হাড়ি রস ৭০০ টাকায় কিনে খান। তবে তাদের চাহিদা অনুযায়ী রস খেতে না পারলেও বাগানের পরিবেশ দেখে তারা মুগ্ধ হয়েছেন।
বাগানে খেজুরের রস ও গুড় কিনতে আসা রাইমা আকতারসহ কয়েকজন জানান, প্রাকৃতিকভাবে ও ভেজাল মুক্ত হওয়ায় এখানকার রস ও গুড় অনেক সু-স্বাদু ।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন জানান, এ এলাকায় শীতে প্রচুর খেজুরের রস হয়। এ রসের ও খেজুর গুড়ের চাহিদাও অনেক বেশি থাকে। বর্তমানে গাছিরা অনেক ব্যস্ত সময় পার করছেন রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরীতে।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/নূসী/১০২০/কেজিএ