বাংলাদেশী কোম্পানীগুলো জলবায়ু দূষণমুক্ত জ্বালানীতে বিনিয়োগের সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে

435

ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : জলবায়ু সহিষ্ণু, পরিবেশ বান্ধব, দূষণমুক্ত ও নবায়নযোগ্য জ্বালানী সক্ষমতা খাতে নিয়োজিত বাংলাদেশী কোম্পানীগুলোর প্রাইভেট ফাইন্যান্সিং অ্যাডভাইজরি নেটওয়ার্ক (পিএফএএন) থেকে তাদের পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন পাওয়ার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
আজ এক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেছেন।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং প্রাইভেট ফাইন্যান্সিং অ্যাডভাইজরি নেটওয়ার্ক (পিএফএএন)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “বাংলাদেশে জলবায়ু ও দূষণমুক্ত জ্বালানীতে বিনিয়োগের সুযোগ” শীর্ষক এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ডিসিসিআই-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এন কে এ মবিন তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে বেসরকারী খাত সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে এবং জলবাযু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সমস্যা মোকাবেলায় বড় ধরণের অবদান রাখা দরকার।
ডিসিসিআই-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘পরিবেশগত বিষয়গুলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করে ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা ও এর সুযোগগুলি ব্যবহারের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
বাংলাদেশে দূষণমুক্ত জ্বালানীতে অর্থায়নের জন্য এন কে এ মবিন শিল্পসমূহে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমানোর বিভিন্ন কৌশল, নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে স্বল্প ব্যয়ে বিনিয়োগ নিশ্চিতকরণ, বিভিন্ন শিল্পে স্বল্প-ব্যয় সবুজ তহবিল নিশ্চিতকরণ এবং জলবাযু পরিবর্তন মোকাবেলায় পুন:অর্থায়নে তহবিল তৈরির কৌশল উন্নয়নের সুপারিশ করেন।
পিএফএএন, এশিয়ার আঞ্চলিক সমন্বয়কারী পিটার ডু পন্ট ওয়েবিনারে পিএফএএন-এর কার্যক্রম সম্পর্কে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পিএফএএন উন্নয়নশীল দেশগুলিতে স্বল্প-কার্বন নি:সরণ, জলবায়ু সহনশীল কাজের পরামর্শ দেয় এবং প্রকল্পগুলিতে উপযুক্ত বেসরকারী অর্থায়নের দিকে নজর রাখে।
পিএফএএন ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬৭৫ টি প্রকল্পে সহায়তা দিয়েছে। তিনি বলেন, পিএফএএন-এর সব প্রকল্পে মোট আবদান ১.৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এশিয়ায় প্রায় ৯৪ টি প্রকল্প পাইপলাইনে রয়েছে বলে জানান তিনি।
থাইল্যান্ডের পিএফএএন-এর উপদেষ্টা জ্যামরন টিও হুনসিরি বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও কৃষিক্ষেত্রে থাই বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মতো বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। পিএফএএন কৃষিক্ষেত্র, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, পর্যটন, স্বাস্থ্য, জ্বালানি দক্ষতা এবং বর্জ্য এবং অর্থনীতিকে বেগবান করতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের বিষয়টি গুরুত্ব প্রদান করবে।
পিএফএএন-এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর শ্যামল বর্মন বলেন, থাই কৌশলগত বিনিয়োগ বাংলাদেশের চিংড়ি রফতানি খাতে এবং সৌর শক্তি খাতে প্রকল্প তৈরি করতে এগিয়ে আসতে পারে।
এসিআই অ্যাগ্রো লিংক লিমিটেডের বিজনেস প্রধান মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, ওমেরা রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) মাসুদুর রহিম এবং পিএফএএন এশিয়া নেটওয়ার্কের সাপোর্ট ম্যানেজার ন্যানসি নুগেইনও ওয়েবিনারটিতে অংশ নেন।