চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে ৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৯ হাজার ছাড়ালো

285

চট্টগ্রাম, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন ১৫৩ জনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এতে সংক্রমিতের সংখ্যা ২৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
উল্লেখ্য, করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর গতকালই একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগীর মৃত্যু ঘটলো। এ নিয়ে গত ১৩ দিনে ২০ করোনা রোগী মারা গেলেন। তবে, দ্বিতীয় প্রকোপের সময়ে এর আগে একদিনে দু’জনের বেশি রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, সোমবার নগরীর ৮টি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ১৫৩ জীবাণুবাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৩৪ জন এবং ৭ উপজেলার ১৯ জন। সংক্রমণের হার ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২৯ হাজার ৬৩ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২২ হাজার ৩৬২ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৭০১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৮ জন, রাউজান ও মিরসরাইয়ে ৩ জন করে, সীতাকু-ে ২ জন এবং লোহাগাড়া, বাঁশখালী ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় এখন মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৩৪৭ জন। এর মধ্যে শহরের ২৫০ জন ও গ্রামের ৯৭ জন। সুস্থতার সনদ দেয়া হয় ২২৬ জনকে। ফলে জেলায় মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৯৭১ জনে। এদের ৩ হাজার ৭৭৯ জন হাসপাতালে ও ২৪ হাজার ১৯২ জন বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। কোয়ারেন্টাইনে গতকাল যুক্ত হন ৩৫ জন, ছাড়পত্র নেন ৪৫ জন। বর্তমানে ১ হাজার ২৮০ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৬৭৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৭ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৫৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৮৬ জনের নমুনায় ২০ জন করোনাক্রান্ত চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৭৫ টি নমুনার ৮ টিতে করোনার জীবাণু মেলে। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ১৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৬ টিতে করোনার জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া যায়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬১ জন, শেভরনে ৫৬ জনের নমুনায় ১৫ জন এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩১ জনের নমুনার মধ্যে ৫ জন করোনাক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। এদিন চট্টগ্রামের ২ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় দু’টিরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ, চমেকে ৩ দশমিক শূন্য ৮৭, চবিতে ২৩ দশমিক ২৫, সিভাসু’তে ১০ দশমিক ৬৬, আরটিআরএলে ৪৬ দশক ১৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২২ দশমিক ১০, শেভরনে ২৬ দশমিক ৭৮ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬ দশমিক ১৩ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।