ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ সংস্কার ও সংরক্ষণের মাধ্যমে পানাম নগরের আদি রূপ ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি বলেন, ‘পানাম নগরের সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ‘গবেষণামূলক পাইলটিং’ কাজের অংশ হিসাবে ১৩ নম্বর ভবনটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ প্রত্নতত্ত্ববিদদের দ্বারা সংরক্ষণ কাজ শুরু করা হলো। পাইলটিং কাজটি সফল হলে এবং দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা প্রত্নতত্ত্ববিদগণ এটিকে আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করলে পর্যায়ক্রমে পানাম নগরের অন্যান্য ভবনসমূহও সংস্কার-সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’ প্রতিমন্ত্রী আজ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর আয়োজিত ‘পানাম নগরের ১৩ নম্বর ভবনের ‘গবেষণামূলক পাইলটিং’ কাজ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পাইলটিং কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হান্নান মিয়া, বিশিষ্ট প্রত্নতত্ত্ববিদ ও এশিয়া-প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ডিন অধ্যাপক আবু সাইদ ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক রাখী রায়।
পানাম নগরের ভবনগুলোর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার সংরক্ষণ কাজ করার লক্ষ্যে ১৩ নম্বর ভবনকে পাইলটিং করে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে সে মোতাবেক সম্পূর্ণ পানাম নগরী কনজারভেশন করার জন্য এ পাইলটিং কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের নিয়মিত রাজস্ব খাত থেকে এ পাইলটিং কাজটি সম্পাদন করা হচ্ছে। পানাম নগরের গবেষণামূলক পাইলটিং কাজটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের সুপারিশ এবং সরাসরি তত্ত্বাবধানে পানাম নগরে পাইলটিং কাজটি সম্পন্ন করা হচ্ছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে পানাম নগরের এই ভবনটিতে গবেষণামূলক পাইলটিং কাজের প্রাক কাজ হিসেবে ইতোমধ্যে ডিজিটাল ড্রইং ডকুমেন্টেশন, লোড বেয়ারিং ক্যাপাসিটি টেস্ট, এরিয়াল সার্ভে, প্লিন্থ লেবেল খননের কাজ সম্পাদিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে প্রায় ৫ মিটার প্রশস্ত ও ৬০০ মিটার দীর্ঘ একটি সড়কের দু’পাশে সুরম্য স্থাপনা নিয়ে পানাম নগর গড়ে ওঠেছিল। পানাম নগরীর রাস্তার দু’পাশে মুখোমুখি দ্বিতল ও ত্রিতল বিশিষ্ট মোট ৫২টি ইমারত রয়েছে। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর। পানামের টিকে থাকা বাড়িগুলোর মধ্যে পানাম সড়কের উত্তর পাশে ৩১টি আর দক্ষিণ পাশে ২১টি বাড়ি রয়েছে।