চট্টগ্রামে ১২ দিনে করোনায় ১৭ জনের মৃত্যু

208

চট্টগ্রাম, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল একজনসহ টানা ১২ দিনে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ভাইরাসবাহক শনাক্ত হন ১ হাজার ৮৭১ জন। সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, রোববার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১ হাজার ৫৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ১৪৩ জন বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৩০ জন এবং ৬ উপজেলার ১৩ জন। ফলে এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২৮ হাজার ৮৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২২ হাজার ২২৮ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৬৬২ জন। উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ১৩ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ৬ জন, রাউজানে ও সীতাকু- ২ জন করে, রাঙ্গুনিয়া, মিরসরাই ও পটিয়ায় ১ জন রয়েছে।
গতকাল করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৩৪৪ জন। এর মধ্যে ২৪৭ জন শহরের ও ৯৭ জন গ্রামের। সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ১৯২ জনকে। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৭৪৫ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৭৬৩ জন ও ঘরে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ২৩ হাজার ৯৮২ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ৩০ জন ও ছাড়পত্র নেন ৪০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ২৫৫ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৭০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ২৮ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৫০২ জনের নমুনার মধ্যে ৩১ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১১৮ টি নমুনার ৩১ টিতে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৪৫ জনের নমুনায় ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে স্থাপিত আরটিআরএলে ২৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১৫ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
বেসরকারি তিনটি ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৬৮ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ২১ ও ৬ টি নমুনায় ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রামের ৬৯ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই নেগেটিভ ফলাফল আসে।
তবে এদিন ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ, চমেকে ৬ দশমিক ১৭, চবি’তে ২৬ দশমিক ২৭, সিভাসু’তে ২৪ দশমিক ৪৪, আরটিআরএলে ৬০ শতাংশ, শেভরনে ৩০ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং মা ও শিশুতে ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
গত ১২ দিনে ১৭ জনের মৃত্যুর মধ্যে ১০, ১১, ১৩, ১৬ ও ১৮ ডিসেম্বর ২ জন করে এবং বাকী দিনগুলোতে একজন করে মৃত্যুবরণ করেন। সংখ্যার বিচারে এ সময়ে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ধরা পড়ে ১৪ ডিসেম্বর ২৮৫ জন এবং সর্বনি¤œ ১৭ ডিসেম্বর ৭৯ জন। সংক্রমণ হারে সর্বোচ্চ ছিল ১৪ ডিসেম্বর ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং সর্বনি¤œ ১৩ ডিসেম্বর ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ।