কুমিল্লায় চিকিৎসার নামে মানসিক রোগীদের আটকে রাখার অপরাধে জরিমানা

295

কুমিল্লা (দক্ষিণ), ২১ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : জেলার দূর্গাপুুরে মধ্যপাড়ার একটি বাড়িতে চিকিৎসার নামে মানসিক রোগীদের আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এ অপরাধে বাড়ির মালিক ফরিদ আহম্মেদকে ২০ হাজার টাকা অর্থদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় আটক রোগীদের স্ব-স্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ ভ্রাম্যমাণ আদালত সোমবার সকাল ১০টায় ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। কোনো সরকারি অনুমোদন ছাড়াই মানসিক চিকিৎসার নামে রোগীদের শারীরিক নির্যাতন করা, পুঁতি গন্ধময় পরিবেশে রোগীদের শিকল বেঁধে আটক রাখা, তীব্র শীতের মধ্যেও রোগীদের শিকল পরিহিত অবস্থায় পুকুরে নেমে গোসল করতে বাধ্য করানোসহ নানা লোমহর্ষক অভিযোগ করে এলাকাবাসী ওই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। এসময় সুস্থ রোগীকেও অসুস্থ হিসেবে আটক অতি নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহ, অননুমোদিত ওষুধ রাখা ও অনুমোদন ছাড়াই প্রতিষ্ঠান চালানোর দায়ে বাড়ির মালিককে অভিযুক্ত করা হয়।
আদালত বাড়ির মালিককে ২০ হাজার টাকা অর্থদ- ও রোগীদেরকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাদের স্ব-স্ব অভিভাবকগণের কাছে পৌঁছে দেয়াসহ ভবিষ্যতে এ ধরণের জঘন্য অপরাধ না করার মুচলেকা আদায় করেন। জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। এসময় প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কুমিল্লা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সৌমেন রায়।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বাসসকে জানান, আমরা দুষ্ট লোকদের আইনের আওতায় এনেছি এটা সত্য। তারপরও বলব, এখন আধুনিক যুগ। চাইলে একজন মানুষ খুব সহজে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের খবর নিতে পারেন। এ যুগে এসে একজন অভিভাবকের এ ধরণের ভুল করা দু:খজনক। এ ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি।