বাসস ক্রীড়া-১৭ : নিজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য মিসবাহ ও ওয়াকারকে দায়ী করলেন পাক পেসার আমির

181

বাসস ক্রীড়া-১৭
ক্রিকেট-পাকিস্তান-আমির-অবসর
নিজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য মিসবাহ ও ওয়াকারকে দায়ী করলেন পাক পেসার আমির
করাচি, ২০ ডিসেম্বর ২০২০ (বাসস/পিটিআই): নিজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য মিসবাহ-উল-হক ও ওয়াকার ইউনুসকে দায়ী করলেন অবসর ঘোষণা দেয়া পাকিস্তানী পেসার মোহাম্মদ আমির। আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টকেও দায়ী করেন তিনি।
নিজের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলার সময় বাঁহাতি এই পেসার পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, তার জন্য সমস্যা ছিলেন মিসবাহ ও ওয়াকার। আমির বলেন,‘ আমি টেস্ট ম্যাচ খেলতে চাই না, বেশী আয়ের লোভে টি-২০ ক্রিকেটকেই বেশী পছন্দ করি-এমন বক্তব্য দিয়ে এই লোক গুলো ধীরে ধীরে আমার বিরুদ্ধে মানুষকে বিষিয়ে তোলার চেস্টা করেছিলেন। তারা বলে বেড়াচ্ছিলেন যে আমার সম্ভাবনা থাকা সত্বেও দলকে হতাশ করছি।
তারা চেস্টা করেছিলেন আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে। অথচ এটি গড়তে আমাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। অবসর নেয়ার সিদ্ধান্তটি নিতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। তারপর আমি ভেবেছি কাউকে না কাউকে সরে যেতে হবে। কি ঘটছে তা মানুষকে জানানো এবং সমস্যাটি উত্থাপনের জন্য আমি এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছি।’
আমির বলেন, লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহনের পর সাদা বলের ম্যাচের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রেখেছিলেন তিনি। ভাল পারফর্মেন্স সত্বেও নতুন দায়িত্বে আসা কর্মকর্তারা তাকে উপেক্ষা করতে শুরু করেনে। তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৫ জনের স্কোয়াডেও সুযোগ না পাওয়ায় আমি অবশ্যই দু:খ পেয়েছি। আমি যদি কেবল লীগ খেলার চিন্তা করতাম তাহলে নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ায় প্রতিক্রিয়া দেখাতাম না এবং দু:খও পেতাম না।’
আমির বলেন, বর্তমান টিম ম্যানেজমেন্টের বড় সমস্যা হচ্ছে তারা সব সময় আমাকে সাইডলাইনে রেখেছে। তারা যদিও বলেন যে এখানে ব্যক্তিগত কোন সমস্যা নেই। কিন্তু তারা কখনো আমাকে সরাসরি কিছু বলতেন না। একজন সিনিয়র খেলোয়াড় হওয়া সত্বেও তারা আমাকে বার বার বাদ দিচ্ছেন এবং কেন করছেন তা বলছেন না।’
গত বছর থেকেই ম্যানেজমেন্ট নেতিবাচক আচরণ করছে উল্লেখ করে আমির বলেন,‘ তারা আমার কাছ থেকে কি ধরনের পারফর্মেন্স চেয়েছেন। আমি পিএসএলে হ্যাট্রিক করেছি, এশিয়া কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভাল বোলিং করেছি। কাঁধের সমস্যায় থাকার পরও গত বছর অণুষ্ঠিত বিশ^কাপে আমি দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।
আমি এখনো আইসিসি বোলার র‌্যাংকিংয়ে আছি। লীগেও পারফর্ম করেছি। তাহলে এর বেশী আমার আর কি করার আছে ?’
২০১০ সালের স্পট ফিক্সিং বেলেঙ্কারির সমালোচনার জবাবে আমির বলেন, ওই ভুলের মাসুল আমি দিয়েছি। তিনি বলেন,‘ হ্যাঁ আমি জানি এবং কৃত কর্মের জন্য আমি সবার কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলাম। আমার কর্মের পরিণতিও ভোগ করেছি। তবে আমি দূর্বল নই। ফিরে এসে আমি সবার মোকাবেলা করেছি। পাকিস্তানের হয়ে সেরাটা দেয়ার প্রানপন চেস্টা করেছি।’
না জেনেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা শুনেই কিছু কিছু মানুষের মন্তব্যে বিষ্মিত হয়েছেন জানিয়ে আমির বলেন,‘ আমি কখন বলেছি যে পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট খেলার পরিবর্তে আমি লীগ খেলতে চাই। কিন্তু আপনি যখন জাতীয় দলে নির্বাচন করবেন না তখন আমার কি করতে হবে। আমাকে লীগে খেলেই সবার কাছে নিজের দক্ষতার প্রমান দিতে হবে।’
আমির স্পস্ট জানিয়ে দেন যে বর্তমান ব্যবস্থাপনা বা সিস্টেমে তার পক্ষে খেলা সম্ভব নয়। তিনি বলেন,‘ আমার অবশ্যই আত্মসম্মান রয়েছে। এটিকে আমি জলাঞ্জলি দিতে পারি না। আমি মানুষকে সম্মান দিতে চাই এবং সম্মান পেতেও চাই।’
বাসস/পিটিআই/এমএইচসি/২০২০/স্বব