বাসস দেশ-৬ : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ একশ’র নিচে

271

বাসস দেশ-৬
চট্টগ্রাম- করোনা
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ একশ’র নিচে
চট্টগ্রাম, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ আবারও একশ’র নিচে নেমেছে। গত ১৭ ডিসেম্বর ৭৯ জন নতুন শনাক্তের পরদিন ১৮ ডিসেম্বর এ সংখ্যা ১২৪ জনে উঠে যায়। শনিবার ৯৬ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। এদিন একজনের মৃত্যু হয়।
তবে গত তিনদিনই সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচে ছিল। শনিবার ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ, শুক্রবার ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং বৃহস্পতিবার ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ হার নির্ণিত হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নগরীর পাঁচটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৬২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ৯৬ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮৯ জন এবং ছয় উপজেলার ৭ জন। উপজেলা পর্যায়ে আক্রান্তদের মধ্যে রাউজানে ২ জন এবং মিরসরাই, সাতকানিয়া, আনোয়ারা, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ২৮ হাজার ৭৬৭ জন। এর মধ্যে শহরের ২২ হাজার ৯৮ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৬৬৯ জন।
এ সময়ে করোনাক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩৪৩ জন, যাতে শহরের ২৪৬ জন ও গ্রামের ৯৭ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন আরো ১৪২ জন। ফলে এ সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ৫৫৩ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৫১ জন এবং হোম আইসোলেশনে সুস্থতার পর ছাড়পত্র পান ২৩ হাজার ৮০২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে গতকাল যুক্ত হন ২৮ জন, ছাড়পত্র পান ২৯ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ২৬০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, শনিবার সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৫৯২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৩৫ জনের নমুনায় ২০ জনের মধ্যে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ২৩ টি নমুনার ১৩ টিতে জীবাণু শনাক্ত হয়।
নগরীর বেসরকারি ল্যাবের মধ্যে শেভরনে ১৭৯ টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৭ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৯ টি নমুনার ৫ টিতে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এছাড়া, চট্টগ্রামের ১৪ জনের নমুনা পাঠানো হয় কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে। পরীক্ষায় সবক’টিরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
তবে, এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) এবং বেসরকারি ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ, চমেকে ৪ দশমিক ৬০, আরটিআরএলে ৫৬ দশমিক ৫২, শেভরনে ২০ দশমিক ৬৭ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬ দশমিক ৩১ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
বাসস/জিই/কেএস/কেসি১৩০৫/-অমি