বাসস ক্রীড়া-১০ : বড় জুটি করতে না পারার আফসোস মিঠুনের

133

বাসস ক্রীড়া-১০
ক্রিকেট-মিঠুন
বড় জুটি করতে না পারার আফসোস মিঠুনের
ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ (বাসস) : লিগ পর্বে ৮ ম্যাচ খেলে ৭ জয় নিয়ে প্লে-অফ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের পারফরমেন্স, শিরোপা জয়ে তাদের অনেক ধাপ এগিয়েও রাখে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শিরোপা জয় করা হয়নি তাদের। মাহমুদুল্লাহ-মাশরাফির জেমকন খুলনার কাছে হেরে ৫ রানে হেরে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মোহাম্মদ মিঠুনের নেতৃত্বাধীন দলটির।
গতরাতে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৪৮ বলে অপরাজিত ৭০ রানের কল্যাণে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৫ রান করে খুলনা। ১৫৬ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে পারেনি চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা।
তাই ম্যাচ হারের জন্য বড় জুটি না হবার কারন চিহ্নিত করেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক মিঠুন। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে মিঠুন বললেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টে ছেলেরা খুবই ভালো খেলেছে। ফাইনালে আমরা নিজেদের মতো খেলতে পারিনি। বোলাররা নিজেদের কাজটা করতে পারলেও, ব্যাটসম্যানরা নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আমরা যদি জুটি গড়তে পারতাম তাহলে কাজটা সহজ হতো।’
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিলো চট্টগ্রাম। ৮ খেলায় ১৪ পয়েন্ট পায় তারা। তবে প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে খুলনার কাছে বিধ্বস্ত হয় চট্টগ্রাম। খুলনার পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজার ৫ উইকেট শিকারে ৪৭ রানে ম্যাচ হারে চট্টগ্রাম। তবে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে ঢাকা বেক্সিমকোকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠে মিঠুনের দল। সেখানেও খুলনার পরিকল্পনার কাছে হার মানে তারা। অধিনায়ক মিঠুন বলেন, ‘পুরো আসরে ভালো খেললেও, ফাইনালে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের পরিকল্পনা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারিনি।’
শিরোপা জিততে না পারলেও, সর্বোচ্চ রান ও উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে নাম আছে চট্টগ্রামের দুই খেলোয়াড় লিটন দাস ও মুস্তাফিজুর রহমানের। লিটন ১০ ইনিংসে ৩৯৩ রান ও মুস্তাফিজ ১০ ইনিংসে ২২ উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া আরেক পেসাার শরিফুলও ১৬ উইকেট নিয়েছেন।
সতীর্থদের প্রশংসা করে মিঠুন বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টেই তারা ভালো পারফরম্যান্স করেছে। শেষ ম্যাচেও ভালো বোলিং করেছে। কিন্তু সাফল্য আমাদের পক্ষে আসেনি।’
বাসস/এএমটি/১৮৪৬/স্বব