বাসস দেশ-৪ : চট্টগ্রামে ২ করোনা রোগীর মৃত্যু

150

বাসস দেশ-৪
চট্টগ্রাম-করোনা-মৃত্যু
চট্টগ্রামে ২ করোনা রোগীর মৃত্যু
চট্টগ্রাম, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গত শুক্রবার বিভিন্ন জটিলতায় ২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদিন নতুন ১২৪ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর ছয়টি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে শুক্রবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১২৪ বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১০০ জন ও সাত উপজেলার ২৪ জন। এর মধ্যে রাউজানে ৭ জন, হাটহাজারীতে ৬ জন, সীতাকু-ে ৪ জন, আনোয়ারা, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়িতে ২ জন করে এবং মিরসরাইয়ে ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ২৮ হাজার ৬৭১ জন। যাতে শহরের বাসিন্দা ২২ হাজার ৯ জন ও গ্রামের ৬ হাজার জন।
শুক্রবার করোনাক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩৪১ জন। এতে শহরের ২৪৫ জন ও গ্রামের ৯৬ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ২২২ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ৪১১ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৯ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে ২৩ হাজার ৬৭২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে এদিন যুক্ত হন ৩০ জন, ছাড়পত্র নেন ২৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ২৫২ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৩ জন করোনার জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩১৯ জনের নমুনার মধ্যে ১২ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ১৪৮ জনের নমুনায় ৫১ জন ভাইরাসবাহক চিহ্নিত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৯৬ টি নমুনার ৪টিতে করোনার জীবাণু মেলে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৪টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২৪টি নমুনার ১০টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ১৭৬ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
তবে, এদিন ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে করোনা সন্দেহে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ, চমেকে ৩ দশমিক ৭৬, চবি’তে ৩৪ দশমিক ৪৬, সিভাসু’তে ৪ দশমিক ১৬, শেভরনে ৩৮ দশশিক ৮৯ শতাংশ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৪১ দশমিক ৬৬ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
বাসস/জিই/কেএস/কেসি/১২৩৫/-আসাচৌ