বাসস দেশ-৩১ : দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু ২৫ জন, সুস্থ ২,০২৪

161

বাসস দেশ-৩১
করোনা-আপডেট
দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু ২৫ জন, সুস্থ ২,০২৪
ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৪ জন।
গতকালের চেয়ে আজ ১১ জন কম মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৩৬ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ হাজার ২১৭ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গতকালও মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান ছিল।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৪ জন। গতকালের চেয়ে আজ ২১৫ জন কম সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ২ হাজার ২৩৯ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯০ জন।
আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ০২ শতাংশ। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৮৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ হাজার ৩৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৩১৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১৩ হাজার ১৯১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ১৩৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ৩০ লাখ ৫০ হাজার ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ লাখ ৯৮ হাজার ২৯৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার ২৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৯৪টি হয়েছে সরকারি এবং ৬ লাখ ১৭ হাজার ৩৭০টি হয়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৩৯ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১২ হাজার ৭৭৬ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৫৬৩টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সরকারি ৯৬ ও বেসরকারি ৬৩টিসহ ১৫৯টি পরীক্ষাগারে (এন্টিজেন টেস্টসহ) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৩৬ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৩ হাজার ১৯১ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার ১৪৫টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২৯২৫ দশমিক ৮৬ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ২৫৪৬ দশমিক ০৮ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৪২ দশমিক ৩৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ২৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন, আর নারী ৯ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৫০৫ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৭১২ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ২৮ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ২৪ জন হাসপাতালে এবং ১ জন বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৯ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১২ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৩ জন; যা দশমিক ৪৬ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৫৫ জন; যা দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৫৭ জন; যা ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৬৪ জন; যা ৫ দশমিক ০৪ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৮৫০ জন; যা ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৮৪৭ জন; যা ২৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ৩ হাজার ৯১১ জন; যা ৫৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে ১ জন করে, সিলেটে ২ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৩ হাজার ৯৪৪ জন; যা ৫৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৩৩৯ জন; যা ১৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৪২৫ জন; যা ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৫১৪ জন; যা ৭ দশমিক ১২ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২৩১ জন; যা ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৮৩ জন; যা ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ৩২৫ জন; যা ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫৬ জন; যা ২ দশমিক ১৬ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ২৬০টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৬৩ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ৩৯৭টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ২৮৯টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ১৯৯ জন ও শয্যা খালি আছে ৯০টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬৮৭টি, ভর্তিকৃত রোগী ৩১৩ জন ও শয্যা খালি আছে ৩৭৪টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৪৫টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ১৯ জন ও শয্যা খালি আছে ২৬টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬ হাজার ৪৮৯টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৫৭৭ জন ও শয্যা খালি আছে ৫ হাজার ৯১২টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২৩৭টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৭৫ জন ও শয্যা খালি আছে ১৬২টি। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১০ হাজার ৪৩৬টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ৭৫৩ জন এবং শয্যা খালি আছে ৭ হাজার ৬৮৩টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৭১টি, রোগী ভর্তি আছে ২৯৩ জন এবং খালি আছে ২৭৮টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৩ হাজার ১৯২টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৬৬৭টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৬১৪টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd এর CORONA কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ২ হাজার ২৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১ হাজার ৩৭৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩১৮ জন, রংপুর বিভাগে ১০৯ জন, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, বরিশাল বিভাগে ২৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৭ জন, সিলেট বিভাগে ৫৭ জন এবং ময়মনসিংহে ৩৩ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৬৫৫ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭০৫ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫ লাখ ৫৬ হাজার জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪০ হাজার ৭৪ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ১২৮ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৩৪৯ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৪ হাজার ৬৬৯ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৮২ হাজার ৩৫৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৩১২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৬ হাজার ২২৫ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ১৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯১৬ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ২ হাজার ৬১৬টি, ৩৩৩ এই হটলাইন নম্বরে ৪ হাজার ৫৫৫টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ১২৪টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৭ হাজার ২৯৫টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ৩১ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৯টি।
কোভিড বিষয়ে হটলাইনে ২৪ ঘন্টায় ফোন করে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন ২ হাজার ৭৫২ জন, এবং এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৩২ হাজার ৮২৩ জন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৫ লাখ ২ হাজার ৩৯০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ১৭৯ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ কোটি ২৮ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৭ জন এবং ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩৩৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বাসস/এএসজি/এমএসএইচ/২০৪০/এএএ