বাসস ক্রীড়া-৯ : লড়াইয়ের জন্য ‘জৈব সুরক্ষার’ পাশাপাশি দরকার বড় স্কোয়াড

154

বাসস ক্রীড়া-৯
ক্রিকেট-অস্ট্রেলিয়া-ভারত-চ্যাপেল
লড়াইয়ের জন্য ‘জৈব সুরক্ষার’ পাশাপাশি দরকার বড় স্কোয়াড
লন্ডন, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ (বাসস/এএফপি) : জৈব সুরক্ষা বলয়ের পাশাপাশি লড়াইয়ে সহায়তা পেতে ভারতের মত দলের বড় স্কোয়াডের প্রয়োজন বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল। কারণ করোনা ভাইরাসের মহামারিতেও তারা ব্যস্ত সফর সুচিতে রয়েছে।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়রা সেপ্টেম্বর থেকেই ধারাবাহিক ‘জৈব সুরক্ষা বলেয়ের’ মধ্যে রয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে শুরুতে তারা অংশ নিয়েছে আরব আমিরাতে আয়োজিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল)।
পরে টেস্ট সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েও ভারতীয় দলটি ফের কোয়ারেন্টিনের আওতায় চলে আসে। বিপুল সংখ্যক ইংলিশ খেলোয়াড়ের কাছেও এখন প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘জৈব সুরক্ষা’। টম বেন্টন ও টম কারানের মত ক্রিকেটার শুধু এই কারনে নিজেদের প্রত্যাহার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লীগ থেকে।
সমস্যা হচ্ছে এই মাহামারিতেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের অগ্রপথিক ইংল্যান্ড স্বাস্থ্য বিষয়ক ইস্যু দেখিয়ে দক্ষিন আফ্রিকা সফরের সুচি সংক্ষিপ্ত করে ফিরে এসেছে। এ সময় ভেঙ্গে যায় তাদের টিম হোটেলের ‘জৈব সুরক্ষা’বলয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে চ্যাপেল বলেন,‘ এমন অভিজ্ঞতা আমার কখনো হয়নি। কিছু কিছু খেলোয়াড় যে জৈব সুরক্ষা নিয়ে কথা তুলছে সেটি নিয়েও আমি বিস্মিত হইনি। এই কারণে বিগ ব্যাশ থেকে বেশ কিছু ইংলিশ ক্রিকেটার নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’
নতুন বছরের সুচনা লগ্নে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ইংলিশদের আতিথেয়তা দিবে ভারত। টেস্ট ছাড়াও ওই সফর সুচিতে রয়েছে ৫ ম্যাচের টি-২০ ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সবগুলো ম্যাচই ‘ জৈব সুরক্ষা বলয়ে’ আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চ্যাপেল বলেন,‘ আপনি যদি ভারতীয়দের এগিয়ে আসার নেপথ্যে দেখেন, তাহলে দেখবেন সেখানে রয়েছে বিশাল আকারের একটি স্কোয়াড। আমি নিশ্চিত আধুনিক যুগের খেলোয়াড়দের দ্বারা এই সুরক্ষা ব্যবস্থা উপেক্ষিত হতে যাচ্ছে আর আমার সমবেদনা সেখানে।’
উল্লেখ্য ১৯৭০ এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার সফল দল নেতা ছিলেন ৭৭ বছর বয়সি সাবেক এই ব্যাটসম্যান।
বাসস/এএফপি/এমএইচসি/১৮৪৫/স্বব