বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি: মাহমুদুল্লাহর লড়াকু ইনিংসে ফাইনালে খুলনার সংগ্রহ ১৫৫ রান

359

ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ (বাসস) : অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের লড়াকু ইনিংসের সুবাদে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপের ফাইনালে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৫ রান করেছে জেমকন খুলনা। পাঁচ নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ৪৮ বলে অপরাজিত ৭০ রানের দারুন এক ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ।
আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। বল হাতে প্রথমেই আক্রমনে আসেন স্পিনার নাহিদুল ইসলাম। প্রথম বলেই খুলনার ওপেনার জহিরুল ইসলামকে শিকার করেন চট্টগ্রামকে দারুন সূচনা এনে দেন নাহিদুল। মিড-অফে মোসাদ্দেক হোসেনকে ক্যাচ দেন জহিরুল।
এখানেই ক্ষান্ত হননি নাহিদুল। নিজের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আবারো খুলনা শিবিরে আঘাত হানেন তিনি। তিন নম্বরে নামা ইমরুল কায়েসকে ৮ রানের বেশি করতে দেননি নাহিদুল। মিড-অফে বাউন্ডারি লাইনে কাছে ফিল্ডার থাকা সত্বেও ছক্কা মারতে গিয়ে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দেন ইমরুল। ফলে ২১ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা।
চাপ থেকে দলকে চিন্তা মুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন ওপেনার জাকির হাসান ও চার নম্বরে সাকিব আল হাসানের পরিবর্তে নামা আরিফুল হক। জুটিতে ২২ রান আসার পর তাদের বিচ্ছিন্ন করেন স্পিনার মোসাদ্দেক। ২০ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৫ রান করা জাকিরকে শিকার করেন মোসাদ্দেক।
দলীয় ৪৩ রানে জাকিরের বিদায়ের পর ক্রিজে আরিফুলের সঙ্গী হন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দ্রুত পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিয়ে দলের রানের চাকা ঘুড়াতে থাকেন তারা। ১১ ওভার শেষে ৭৭ রান পেয়েও যায় খুলনা। তখন রান রেট ছিলো ওভারপ্রতি ৭ করে।
এখান থেকে রানকে আরও বাড়ানোর পরিকল্পনায় ছিলেন আরিফুল-মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু ১২তম ওভারে আরিফুলকে শিকার করে চট্টগ্রামকে খেলায় ফেরানোর পথ দেখান বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। উইকেটে পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ২১ রানে থামেন আরিফুল। ২৩ বল খেলে ২টি চার মারেন তিনি।
দলের স্কোর যখন ৮৩ রানে, তখন আউট হন আরিফুল। এরপর শুভাগত হোমের সাথে ৩৪ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যান মাহমুদুল্লাহ। জুটিতে ১৫ রান অবদান রেখে শরিফেুলের বলে ফিরেন শুভাগত। তার ১২ বলের ইনিংসে ১টি করে চার ও ছক্কা ছিলো।
শুভাগত আউট হবার পর খুলনার ইনিংসে ২৬ বল বাকী ছিলো। এক প্রান্ত দিয়ে শামিম হোসেন শুন্য ও মাশরাফি বিন মর্তুজা ৫ রান করে থামলেও, অন্য প্রান্ত আগলে রেখে সংক্ষিপ্ত ভার্সনে ৩৯তম বলে হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান মাহমুদুল্লাহ। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চট্টগ্রামের পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে বাউন্ডারি মেরে এবারের আসরে প্রথম অর্ধশতকের দেখা পান তিনি।
ফাইনালের মঞ্চে মাহমুদুল্লাহর এই হাফ-সেঞ্চুরি শেষ পর্যন্ত খুলনাকে লড়াকু সংগ্রহই এনে দেয়। সৌম্যর করা শেষ ওভারের তৃতীয় বলে চার, চতুর্থ বলে ছক্কা ও পঞ্চম বলে চার মারেন মাহমুদুল্লাহ। ঐ ওভার থেকে ১৭ রান পায় দল। ফলে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৫ রান করে খুলনা।
৪৮ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৭০ রান করেন খুলনার দলনেতা মাহমুদুল্লাহ। বল হাতে চট্টগ্রামের নাহিদুল-শরিফুল ২টি করে, মোসাদ্দেক-মুস্তাফিজ ১টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
জেমকন খুলনা : ১৫৫/৭, ২০ ওভার (মাহমুদুল্লাহ ৭০*, জাকির ২৫, নাহিদুল ২/১৯)।