বাসস দেশ-৭ : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৭৯, একজনের মৃত্যু

118

বাসস দেশ-৭
চট্টগ্রাম-করোনা-আক্রান্ত
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৭৯, একজনের মৃত্যু
চট্টগ্রাম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে ডিসেম্বর মাসে দ্বিতীয় দিনের মতো করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ একশ’র নিচে নেমেছে। গত বৃহস্পতিবারের পরীক্ষায় ৭৯ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ সময় একজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ১ হাজার ৩২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৮ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। সংক্রমণ হার ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। সংক্রমণের সংখ্যা ও হারে এ মাসের প্রথম ১৭ দিনের সর্বনি¤œ। এদিন করোনাক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে।
গত নভেম্বর মাসে মোট ১১ দিন শনাক্তের সংখ্যা একশ’র নিচে নেমেছিল। এর মধ্যে চারদিন ছিল ৭০ এর নিচে। ৮ ও ১৫ নভেম্বর ৬৩ জন করে নতুন বাহক শনাক্ত হন। ৮ নভেম্বর ৮৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সংক্রমণের হার ছিল ৭ শতাংশ। এদিন করোনাক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। ১৫ নভেম্বর ৯৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ সময় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। ২২ নভেম্বর ৬৪ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ২৯ নভেম্বর ৬৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ সময় করোনাক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে এ সময়ের সবচেয়ে কম ৩২ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন ৩১ অক্টোবরের পরীক্ষায়। যার রিপোর্ট ১ নভেম্বর প্রকাশিত হয়। সংক্রমণ হারও ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এদিন করোনাক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে জানা যায়, নগরীর ছয়টি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৭৯ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩ জন ও ছয় উপজেলার ৬ জন। এর মধ্যে মিরসরাই, সীতাকু-, রাউজান, পটিয়া, বোয়ালখালী ও আনোয়ারায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ২৮ হাজার ৫৪৭ জন, যাতে শহরের বাসিন্দা ২১ হাজার ৯০৯ ও গ্রামের ৫ হাজার ৯৭৬ জন।
বৃহস্পতিবার করোনাক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩৩৯ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ২৪৩ জন ও গ্রামের ৯৬ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১২২ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২৭ হাজার ১৮৯ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৭২৭ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে ২৩ হাজার ৪৬২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ২১ জন। ছাড়পত্র নেন ৩০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১২৪১ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, এদিন সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৫২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২ জন করোনার জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪০৪ জনের নমুনার মধ্যে ৭ জন করোনা শনাক্ত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৯৬টি নমুনার মধ্যে ৪টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ২৪ জনের নমুনায় ১০ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১১৯টি নমুনার মধ্যে ২১টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৪টি নমুনায় ১০টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রামের ৪৫ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে, এদিন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে গত ২৪ ঘণ্টায় বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ, চমেকে ১ দশমিক ৭৩, সিভাসু’তে ৪ দশমিক ১৬, আরটিআরএলে ৪১ দশমিক ৬৬, শেভরনে ১৭ দশমিক ৬৫ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৪১ দশমিক ৬৬ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
বাসস/জিই/কেএস/কেসি/১৩০৩/-আসাচৌ