বাসস দেশ-৩৪ : বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : ডিএমপি কমিশনার

214

বাসস দেশ-৩৪
ডিএমপি কমিশনার-সংবর্ধনা
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : ঢাকা মহানগর কমিশনার (ডিএমপি) মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, সেটা করতে দেয়া হবে না। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, এই দেশে থাকতে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানতে হবে, তাঁকে স্বীকার করতেই হবে। যারা মানবে না তারা ও তাদের পরিবার এই দেশে থাকার অধিকার রাখেনা। আজ বৃহস্পতিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ অডিটরিয়ামে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন-‘আপনারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন। আমরা কথা দিতে পারি এই স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা আমরা করব। যারা এই স্বাধীনতা নস্যাৎ করার চেষ্টা করবে আমরা জেগে আছি জাতির ক্রান্তিকালে অবশ্যই তাদের প্রতিহত করা হবে’।
স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আজ ডিএমপি’র পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রথম যেখানে আক্রমণ চালিয়েছিলো সেই রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকেই বাঙালি পুলিশ সদস্যরা প্রথম প্রতিরোধ করেছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ করেছিল পুলিশ বাহিনী এটাই জাতির অহংকার। পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ বুকে ধারন করে কাজ করলে তাঁদের আতœা শান্তি পাবে বলে উল্লেখ করেন ডিএমপি কমিশনার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা শহীদ হয়েছেন তাঁদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে মোট ১৬ জন বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। আগত বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে থেকে কয়েকজন সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন তাদের দুঃসাহসিক অভিযানের বর্ণনাসহ বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন। এই সময়ে অনেকে আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন।
বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল মন্ডল (অব: ডিআইজি) বলেন- বিজয় দিবস, বাংলাদেশের পতাকা, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু একই সূত্রে গাথাঁ। একটি ছাড়া অন্যটি চলে না। পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশকে চেনে না কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ঠিকই চেনে। তাঁর সন্মান আমাদের রক্ষা করতেই হবে।
মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা মানে বাংলাদেশ, জাতীয় পতাকা, স্বাধীনতা ও সংবিধানকে অপমান করা। পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষার জন্য প্রয়োজনে আপনারা আবার ঝাঁপিয়ে পড়বেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এর কয়েকদিন পরেই রাজারবাগে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা হয়, এটি পুলিশের একটি অর্জন বলেও জানান তিনি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/এফএইচ/২০৩০/কেএমকে