বাসস দেশ-৩১ : মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিতে বিএসএফ’র শ্রদ্ধা নিবেদন

162

বাসস দেশ-৩১
মুক্তিযোদ্ধা-শ্রদ্ধা-বিএসএফ
মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিতে বিএসএফ’র শ্রদ্ধা নিবেদন
চুয়াডাঙ্গা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : জেলার জীবননগর উপজেলার মাধবখালী সীমান্তে ছয় ইপিআর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
আজ দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান।
জীবননগর উপজেলার মাধবখালি সীমান্তের শূন্যরেখায় রয়েছে ছয় ইপিআর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর। সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়ে হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেন তাঁরা।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বুধবার বিকেল ৫টায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র ৫৪ সীমানগর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট দেবারাজ সিং-এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি দল ওই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে শ্রদ্ধাঞ্জলীর বিষয়টি বিজিবিকে জানায় বিএসএফ। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিজিবির সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সমাধিস্থলে সব আয়োজন সম্পন্ন করে বিজিবি। শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ও সহকারি পরিচালক নিস্তার আহমেদ।
বিজয়ের ৫০ বছর পর এই প্রথম শহীদ ছয় বীর মুক্তিযোদ্ধার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর অবদানকে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। জীবননগরের মাধবখালি সীমান্তে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী যৌথ অপারেশনে সেদিন পরাজিত হয় পাক হানাদাররা। এসময় শহীদ হন ছয় বীর সৈনিক। বিজয়ের ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তাঁদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করলো বিএসএফ। এতে আমরাও গর্বিত ও আনন্দিত।
বিএসএফ-এর কমান্ড্যান্ট দেবারাজ সিং জানান, বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসে আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। এই বীর সৈনিকরা স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তাঁদের এই আত্মত্যাগে আমরাও গর্বিত। ভবিষ্যতেও এই সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর সকালে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কমান্ডার মেজর দত্ত ও বর্ম্মা এবং ৮ নম্বর সেক্টরের বানপুর সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী যৌথভাবে জীবননগরের মাধবখালি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে প্রবেশ করে এ অঞ্চলে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর অতর্কিতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এ সময় রাজাপুর ও মাধবখালী সীমান্তে সম্মুখ সমরে শাহাদৎ বরণ করেন- ইপিআর সদস্য হাবিলদার আব্দুল গফুর, নায়েক আব্দুল মালেক, আব্দুর রশিদ, সিপাহী সিদ্দিক আলী, আব্দুল আজিজ ও আবু বকর। শহীদ এই ৬ ইপিআর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মাধবখালী সীমান্তের শূন্যরেখায় পাশাপাশি সমাধিত করা হয়। যুদ্ধে যৌথ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয় হানাদার বাহিনীর ২৯ বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা।
বাসস/সংবাদদাতা/১৯৪৭/-এমএন