ফিরমিনোর গোলে টটেনহ্যামকে হটিয়ে শীর্ষে উঠে এলো লিভারপুল

284

লিভারপুল, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ (বাসস) : রবার্তো ফিরমিনোর ৯০ মিনিটের গোলে টটেনহ্যামকে হটিয়ে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে লিভারপুল। এ্যানফিল্ডে কাল ২-১ গোলের এই জয়ে টটেনহ্যামের টানা ১১ ম্যাচ লিগ জয়ের ধারাও শেষ হয়েছে।
২৬ মিনিটে মোহাম্মদ সালাহর ডিফ্লেকটেড গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু কাউন্টার এ্যাটাক থেকে ৩৩ মিনিটে সন হেয়াং-মিনের গোলে ৬০ বছর পর প্রথমবারের মত লিগ শিরোপা জয়ে স্পার্সদের স্বপ্ন আবারো উজ্জ্বল হয়ে উঠে। দ্বিতীয়ার্ধে টটেনহ্যাম বেশ কয়েকটি সুযোগ হাত ছাড়া করেছে। স্টিভেন বারগুইনের শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে, হ্যারি কেনের হেড গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। এই জয়ে প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে ৬৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়লো লিভারপুল। শেষ মুহূর্তে এন্ডি রবার্টসনের কর্ণার থেকে ফিরমিনোর শক্তিশালী হেড এ্যানফিল্ডের দুই হাজার দর্শকের সাথে সাথে ক্লপকেও স্বস্তি এনে দিয়েছে।
ম্যাচ শুরুর আকে লিভারপুলের সমর্থক, খেলোয়াড় ও অফিসিয়ালরা মিলে সদ্য প্রয়াত সাবেক ম্যানেজার জেরার্ড হুলিয়ারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সপ্তাহের শুরুতে ৭৩ বছর বয়সে হুলিয়ান মৃত্যুবরণ করেন। ২০ বছর আগে হুলিয়ারের অধীনে রেডসরা কাপ প্রতিযোগিতায় হ্যাটট্রিক শিরোপা জয় করেছিল।
হুলিয়ারদের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে জার্গেন ক্লপ এই মুহূর্তে একের পর এক প্রমান করে চলেছে লিবভারপুল কেন প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার অন্যতম ফেবারিট। অথচ প্রথমার্ধে পরিচিত লিভারপুলকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। বরং স্পার্সরাই এ্যানফিল্ডে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখে ম্যাচ শুরু করে। টটেনহ্যামের ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লোরিসকে কাল খুব একটা ব্যস্ত দেখা যায়নি। যদিও প্রথম গোলের দেখা পায় লিভারপুলই। সালাহর শট টবি অলডারউইরাল্ডের বিশাল ডিফ্লেক্টে জালে জড়ালে এগিয়ে যায় রেডসরা। পোস্টের নীচে লোরিসের কার্যত কিছুই করার ছিলনা। পরের মুহূর্তে ইংলিশ মিডফিল্ডার কার্টিস জোনস ব্যবধান প্রায় দ্বিগুন করেই ফেলেছিলেন। কিন্তু লোরিস সহজেই তা রুখে দেন। ৩৩ মিনিটে কাউন্টার এ্যাটাক থেকে অবশ্য কোন ভুল করেনি স্পার্স। সাম্প্রতিক সময়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনালের মত বড় দলকে পরাজিত করার সুখস্মৃতি আবারো যেন উজ্জ্বল করে তুলে টটেনহ্যাম। গিওভানি লো সেলসোর দুর্দান্ত পাসে ১৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার রায়স উইলিয়ামস ও মধ্যমাঠে ফ্যাবিনহোকে নিয়ে মেকশিফট হয়ে যাওয়া লিভারপুলের সেন্ট্রাল ডিফেন্স ভেঙ্গে যায়। সেই সুযোগে এ্যালিসন বেকারকে পরাস্ত করে সন মৌসুমের ১৪তম গোল পূরণ করেন।
সমতায় ফেরার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরো উজ্জীবিত হয়ে খেলতে থাকে টটেনহ্যাম। ডাচ স্ট্রাইকার বারগুইন বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেন। বিশেষ করে ৬০ মিনিটে তার শটটি পোস্টে না লাগলে তখনই হয়ত এগিয়ে যেতে পারতো হোসে মরিনহোর দল। এরপর কর্ণার থেকে কেন দ্বিতীয়ার্ধের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন। লিভারপুল অবশ্য এই সুযোগে বলের নিয়ন্ত্রন নিজেদের করে নেয়। সাদিও মানের পাস থেকে সার্জি অরিয়ারের শট অল্পের জন্য পোস্টে বাইরে দিয়ে চলে যায়। শেষ মিনিটে রবার্টসনের কর্ণার থেকে ফিরমিনোর গোলে লিভারপুলের গুরুত্বপূর্ণ জয় নিশ্চিত হয়।