সারাদেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

653

ঢাকা ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। আজ বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকী। স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশে উদিত হয়েছিল নতুন এক সূর্য। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধবনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করে। বিভিন্ন স্থান থেকে বাসস প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।
গোপালগঞ্জ : বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
রাত ১২টা ০১ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান; সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকের গুলিতে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য, ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এসময় জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খানসহ দলের সহযোগী ও অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে অবস্থিত বধ্যভূমিতে এবং শহরের লঞ্চঘাটে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে প্রশাসন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল পৌনে ১০টায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ও আব্দুল আওয়াল শামীম টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য কানতারা খানও জাতির পিতার সামধিতে শ্রদ্ধা জানান। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আলাদাভাবে জাতির পিতার সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। জেলার অন্যান্য উপজেলা সদরেও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়।
হবিগঞ্জ : জেলার দুর্জয় স্মৃতিসৌধে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এর আগে সেখানে বিজয়ের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মো.আবু জাহির এমপি, হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি ও সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গায়:শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
এসময় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জেলা পরিষদ ও রেডক্রিসেন্ট ইউনিটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুর ইসলাম জোয়ার্দ্দার ।
শরীয়তপুর: জেলার শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে জেলাবাসীর পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান। পরে পর্যায়ক্রমে পুলিশ সুপার এস এম আশ্রাফুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিদল ও সামাজিক সংগঠন, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ এবং বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয় জাতির সূর্য সন্তানদের।
এর পর সকাল ৭:২০ টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিদিগণ মহিষার গণকবর, আটিপাড়া ও মনোহর বাজার মধ্যপাড়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ জিয়ারত ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন।
সকাল সাড়ে ৮ টায় শরীয়তপুর সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। শরীয়তপুরের বিভিন্ন হাসপাতাল, শিশু পরিবার, জেলখানা ও এতিম খানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশনসহ সকল মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত এবং প্রার্থনা করা হয়।
নড়াইল : জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে স্মৃতি সৌধ, গণকবর, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও বধ্য ভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, গণকবর জিয়ারত ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা সেলিম প্রমুখ।
দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা। অপরদিকে কালিয়া উপজেলা প্রশাসকের আয়োজনে শহীদ আব্দুস সালাম ডিগ্রী কলেজের মাঠে ও লোহাগড়া উপজেলার মোল্যার মাঠে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদায়।
জয়পুরহাট: করোনা প্রাদূর্ভাবের কারণে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো: শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবিরের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সরকারি বিভিন্ন বিভাগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাসদ, সিপিবি, জাপা, বাসদ, বিএনপি ও তাদের অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মরনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এখানে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম। সকাল ১০ টায় ভার্চুয়ালি’ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোকসজ্জা করা হয়। এতিমখানা, শিশু পরিবার ও হাসপাতালে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়। শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রা কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। শিশু একাডেমি আয়োজন করে শিশুদের জন্য ছবি আঁকা ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা-খুলনা রোড মোড়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা ১ মিনিটে) পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপির নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক সাতনদীর সম্পাদক হাবিবুর রহমান, আরটিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, ডিবিসির এম জিললুর রহমান, আমিরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলার সভাপতি ইমাম হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান লাভলু, আমিনুর রহমান, সাংগাঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল হোসেন বকুল, এডভোকেট সুনীল ঘোষ, নাজমা খাতুন, মনিরা পারভীন, ময়না খাতুন, স্বরসতী বন্দ্যোপাধ্যায়সহ নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া, জেলা সৈনিক লীগ ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জেলা অপরাধ দমন বিভাগের (সিআইডি) পদস্থ কর্মকর্তারাও উপিস্থিত ছিলেন। এদিকে, রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে পুষ্পস্তবক করেন সাতক্ষীরা সদর এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
বান্দরবান : সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়। এরপর সকাল ৮টায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে পুলিশ বাহিনীর সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জেরিন আখতার।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম, মো. লুৎফর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল কুদ্দুস, রেজা সরোয়ারসহ সরকারি-বেসরকাীর উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অংশগ্রহণ করেন। ভার্চুয়ালি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, ও দেশাত্ববোধক গানসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটিকে উদযাপন করছে প্রশাসন।
বগুড়া : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বগুড়ায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদের তাদের নিজ নিজ চত্বরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে প্রতিকৃতি ও ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সংগঠনগুলো সংগঠনের কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সকালে জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হকের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, পুলিশ প্রশাসক আলী আশরাফ ভ্ঞূা, জেলা পরিষদের চেয়াম্যান ডা. মকবুল হোসেন,ও বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন উপস্থিত ছিলেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, যুবলীগ উদীচিসহ অন্য সংগঠন আলোচনা সভা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ডা. মকবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, টি. জামান নিকেতা, আসাদুর রহামান দুলু, শাহাদাৎ আলম ঝুনু, সাগর কুমার রায়, সুলতান মাহমুদ খান রনি প্রমুখ। হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, মুক ও বধির উচ্চ বিদ্যালয়, ভবঘুরে কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়।
কুমিল্লা : সকাল সাড়ে ৬ টায় কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা, জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে, নগরীর সিটি পার্কে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জেলা প্রশাসক এ কে এম সামছুল হক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে শহীদ পুলিশ সুপার মুন্সী কবির উদ্দিনের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
জেলার বুড়িচং উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বুড়িচং উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
দিবসের অন্যান্য কর্মসুচির মধ্যে সকাল ৮টায় কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, শরীর চর্চা প্রদর্শনী হয়। সকাল সাড়ে ১১ টায় জেলা প্রশাসক বাসভবনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও বিকেল ৩ টায় বিজয় র‌্যালী, সন্ধ্যায় আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।
মেহেরপুর : সকাল ৬ টা ৪১ মিনিটে রাষ্ট্রের পক্ষে ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, এমপির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান সরকারি কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, মুুুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে এডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, পৌরসভার পক্ষে পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, উপজেলা পরিষদ, গণপূর্ত বিভাগ, সরকারি মহিলা কলেজ, এলজিইডি বিভাগ, জেলা যুবলীগ, মেহেরপুর সরকারি কলেজ, জেলা কারাগার, শিল্প কলা একাডেমি এবং সমাজ সেবা বিভাগসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর সেখানে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাগেরহাট : সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের দশানীস্থ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে গার্ড অব অনার প্রদান ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এসময় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো, মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, সিভিল সার্জন কেএম হুমায়ুন কবির, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট হেমায়েত উদ্দিন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোছাব্বেরুল ইসলাম, বােেগরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ড. আজাদ ফিরোজ টিপু, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শওকত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে সকল শহীদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয় এবং এগারোটায় স্বাধীনতা উদ্যানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এসব কর্মসূচি শেষে দশানীস্থ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ঢল নামে। একে একে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্র লীগ, সমাজতান্ত্রিক দল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, শিক্ষা প্রকৌশল, জেলা মৎস্য বিভাগ, বাগেরহাট জেলা আইনজীবী সমিতি, বাগেরহাট প্রেসক্লাব, সরকারি পিসি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, রাজনৈতিক ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়।