এডিবি করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ২ মিলিয়ন ডলার দিবে

482

ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস): এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধ ও নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশসহ কিছু উন্নয়নশীল সদস্যকে সহায়তা করতে ২ মিলিয়ন ডলারের কারিগরি সহায়তা (টিএ) অনুদান অনুমোদন করেছে।
এডিবি বিভিন্ন প্রকল্পে পানি, স্যানিটেশন, পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্য (ওয়াশ+এইচ) পদ্ধতির সম্প্রসারণ ও সমন্বয়ের ক্ষেত্রে এ সহায়তা প্রদান করবে।
জাপান সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত দারিদ্র্য নিরসন সংক্রান্ত জাপানী তহবিল থেকে ২ মিলিয়ন ডলার অনুদান থেকে আসবে।
এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কারিগরি সহায়তা সরাসরি এডিবি’র সামাজিক খাতে বিশেষত স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সামাজিক সুরক্ষার পাশাপাশি পানি ও নগরখাত সম্পর্কিত প্রকল্পগুলোতে তহবিল সংস্থান করবে। এ ক্ষেত্রে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন, বর্জ্য পানি ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে বেছে নেয়া দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা ও উজবেকিস্তান।
এডিবির মুখ্য পানি সম্পদ বিশেষজ্ঞ কোরাল ফার্নান্দেজ ইলেসকাস বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে প্রতীয়মান হয়েছে যে, নিরাপদ ওয়াশ সেবার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর আচরণ সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার মৌলিক বিষয়।
এডিবি’র কর্মকর্তা আরও বলেন, এই কারিগরি সহায়তা কার্যত: ওয়াশ+এইচ সচেতনতা গড়ে তোলা, প্রমাণ ভিত্তিক চর্চা, বিনিয়োগ, কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্থ্যবিধির আচরণগত পরিবর্তন এবং প্রকল্প প্রস্তুতি ও বাস্তবায়নে প্রভাব কমাতে সহায়তা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩ বিলিয়ন মানুষ এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রায় তিন চতুর্থাংশ মানুষের পানি ও সাবান দিয়ে বাড়িতে হাত ধোয়ার সুবিধার অভাব রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী প্রায় অর্ধেক স্কুলে হাত ধোয়া সুবিধার অভাব রয়েছে, যার প্রভাব ৯০০ মিলিয়ন স্কুল শিক্ষার্থীর উপর পড়ে এবং ৪৩ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় রোগীর যতেœর ক্ষেত্রে হাতের পরিচ্ছন্নতার স্বাস্থ্যবিধির অভাব রয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, হাত ধোয়ার বিষয়ে জ্ঞান বৃদ্ধি, এমনকি যেখানে নির্ভরযোগ্য পানি সরবরাহের সুব্যবস্থা বিদ্যমান সেখানেও আচরণ পরিবর্তনকে উৎসাহিত করার জন্য যথেষ্ট নয়।
এই কারিগরি সহায়তা বিশেষ করে দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জন্য একটি কার্যকর ও টেকসই ওয়াশ+এইচ কর্মসূচির মাধ্যমে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত তহবিল সংস্থান করবে।
এই কর্মসূচি বহু-খাত এবং বহু-অংশীদারদের সচেতনতা বৃদ্ধি, জ্ঞান এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি, নীতিমালা সংক্রান্ত আলোচনা এবং কৌশল উন্নয়নে সহায়তা করবে।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে সচেতনতা বৃদ্ধি, সক্ষমতা জোরদার এবং নীতিগত ফাঁক ও বাঁধাগুলো সনাক্ত এবং তাদের মোকাবেলার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা।