১৯ মার্চের সশস্ত্র প্রতিরোধের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া প্রয়োজন : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

665

ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস জানানোর স্বার্থে ১৯ মার্চের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের দিনটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের ২৩ বছরে হানাদারদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক প্রতিরোধ হয়েছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পূর্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ হয়েছিল ’৭১- এর ১৯ মার্চে গাজীপুরে। এটিই ছিল পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে বাঙালিদের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পূর্বে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় এ প্রতিরোধ যুদ্ধ মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিল।’ আজ ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও ১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে ‘ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি’ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় পৃথিবীর সকল মুসলিম প্রধান দেশে ভাস্কর্য আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই ভাস্কর্য আছে। গাজীপুরেও প্রথম প্রতিরোধের ভাস্কর্য ১৯৭২ সাল থেকে আছে। সেসব ভাস্কর্য নিয়ে কখনও কেউ কিছু বলেনি, কিন্তু জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে তারা কথা বলার ধৃষ্টতা দেখায়। বিজয়ের এত বছর পর সা¤প্রদায়িক শক্তির আস্ফালন দুঃখজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যারা আজ ধর্মের নাম করে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে এরাই ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ ও ’৭০ এর নির্বাচন এবং ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালি জাতিসত্ত্বা ও বাঙালির ন্যায়সঙ্গত অধিকারকে ইসলামের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাঙালি জাতি এসব ধর্ম ব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচন করে প্রতিহত করবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
সভায় ২০২১ সালে ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন বিষয়ে বিস্তাারিত আলোচনা হয়। সংগঠনের সমন্বয়কারী সাংবাদিক আতাউর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শামসুন নাহার ভুইয়া এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী মোজাম্মেল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক এম.এ.বারী, গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট রীনা পারভীন, সিনিয়র সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য আশরাফ খান ও সাংবাদিক আশিষ সৈকত, সাংবাদিক মোহাম্মদ আল মামুন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আবদুল আলীম মোল্লা, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের
সভাপতি ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মানিক।