বাসস ক্রীড়া-৪ : এশিয়ান গেমসের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ইন্দোনেশিয়া

155

বাসস ক্রীড়া-৪
এশিয়ান গেমস
এশিয়ান গেমসের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ইন্দোনেশিয়া
জাকার্তা, ১১ আগস্ট ২০১৮ (বাসস) : সন্ত্রাসী হামলা, স্ট্রিট ক্রাইম, জাকার্তার অসহনীয় যানজটÑ এসব কিছুকে পিছনে ফেলে ১৮তম এশিয়ান গেমস আয়োজনে ইন্দোনেশিয়া পুরোপুরি প্রস্তুত বলেই দাবী জানিয়েছে স্থানীয় আয়োজক কমিটি।
জাকার্তা ও পালেমবাংয়ে আগামী ১৮ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান গেমসের ১৮তম আসর। এবারের আসরে এশিয়ানভূক্ত ৪৫টি দেশ থেকে ১১ হাজার খেলোয়াড় ও ৫ হাজার কর্মকর্তার অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। অলিম্পিকের পরে এশিয়ান গেমসকেই মাল্টি-স্পোর্ট ইভেন্ট হিসেবে সবচেয়ে বড় আয়োজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা অস্বীকৃতি জানালে ইন্দোনেশিয়া সুযোগটি লুফে নেয়। যে কারনে অন্যান্য দেশ নিজেদের প্রস্তুত করে তুলতে যে সময় পায় তার থেকে বেশ কম সময়ই পেয়েছে এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপ রাষ্ট্রটি। ইতোমধ্যেই গেমস আয়োজনের জন্য নিজেদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হবার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্দোনেশিয়ার আয়োজক কমিটির থেকে জানানো হয়েছে। আয়োজক কমিটির প্রধান এরিক থোয়ির বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদেরও জানিয়েছেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রস্তুতিতে কোন সমস্যা নেই। শেষ মুহূর্তে কোন সমস্যা এলে সেটা আমরা সঠিক সময়েই সমাধান করে দিব।’
আগামী শনিবার জাকার্তায় অনুষ্ঠিতব্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ৭০ শতাংশ টিকিটও ইতোমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
জাকার্তা শহরের তীব্র যানজট প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ইতোমধ্যেই বাস্তবায়িত জোড়-বিজোড় লাইসেন্ট প্লেট পদ্ধতি বেশ ফলপ্রসূ হয়েছে। জাকার্তার ট্রান্সপোর্টেশন এজেন্সির প্রধান আন্দি ইয়ানশাই জানিয়েছেন, যাতায়াতের গতি ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে যাতায়াতের সময় ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কিলোমিটারে ১৫.৫৬ মিনিট থেকে ৮.৮৬ মিনিটে উন্নীত হয়েছে।
খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা প্রতি রোডের নির্ধারিত লেন দিয়ে যাতায়াত করবে, ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
২০১১ সালে এসইএ গেমসের মধ্যদিয়ে সর্বশেষ বড় কোন ক্রীড়া আসর আয়োজন করেছিল ইন্দোনেশিয়া। এই আসরে জাকার্তায় অনুষ্ঠিত ফুটবল ফাইনালে সংঘর্ষে দু’জন মানুষ নিহত হয়েছিল। এবার সকলের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে জাকার্তা ও পালেমবাংয়ে প্রায় ৪০ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশেল পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টিও সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বাসস/নীহা/১৭০৫/মোজা/স্বব