বাসস দেশ-৪২ : ভাস্কর্য ইস্যুতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : আইজিপি

বাসস দেশ-৪২
আইজিপি-গিয়ার উদ্বোধন
ভাস্কর্য ইস্যুতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : আইজিপি
ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস): পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ভাস্কর্য ইস্যুতে কোনো মহল যদি জলঘোলা করার চেষ্টা করে, আমরা সেটা করতে দেবো না’। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘সর্বাধুনিক আপারেশনাল গিয়ার ট্যাকটিক্যাল বেল্টের’ উদ্ধোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এ কথা বলেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, পুলিশ বাহিনীকে সর্বাধুনিকায়ন করার লক্ষে বর্তমান সরকার বহুমূখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষে দেশের মানুষকে আধুনিক পুলিশের প্রতিচ্ছবি দেখানোর প্রত্যয় নিয়ে প্রচলন করা হল সর্বাধুনিক অপারেশন গিয়ার ব্যবস্থা।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘উন্নত বিশ্বে রুটিন ডিউটিতে পুলিশ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে না। এখন থেকে আমরাও সেই বিষয়টি প্রচলন করতে চাই। প্রথমে ঢাকা ও চট্টগ্রামে এটি ব্যবহার করবে। এরপর ধাপে ধাপে সবক্ষেত্রে এটির প্রচলন করা হবে। উদ্ধোধনী এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনে পুলিশে কর্মরত ১০ হাজার পুলিশ সদস্যের ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বাধুনিক এই অপারেশন গিয়ারটি চালু হচ্ছে।
আইজিপি বলেন, ‘আমরা চাই না ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ এক হাতে ওয়্যারলেস ধরে থাকুক, এক হাত অকুপাইড হয়ে থাকুক। নতুন গিয়ার সংযোজনের ফলে ওয়্যারলেস চলে যাবে বেল্টে। কাঁধে সংযোজিত মাইক্রোফোনের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা ওয়্যারলেস ব্যবহার করতে পারবেন।
ট্যাকটিক্যাল বেল্টের সঙ্গে থাই হোলস্টার যুক্ত করে সেখানে স্মল আর্মস রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়াও বেল্টের সঙ্গে এক্সপ্যান্ডেবল ব্যাটন, টর্চলাইট, হ্যান্ড কাফ ও পানির বোতল রাখার সুযোগ রয়েছে। জরুরি মুহূর্তে দ্রুত মেসেজ আদানপ্রদান নিশ্চিত করতে ওয়ার্লেস সেটের সঙ্গে একটি মাইক্রোফোন জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যরা সেট মুখের কাছে না এনেই মেসেজ আদান-প্রদান করতে পারবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আগামীকাল বিজয় দিবস, এই মাহেন্দ্রক্ষনে আমরা পুলিশ বাহিনীতে নতুন অপারেশন গিয়ার যুক্ত করতে চাই। মূলত পশ্চিমা দেশগুলোতে পুলিশ বাহিনীতে সদস্যরা রুটিন ডিউটি করার সময় লং ব্যারেল অস্ত্র বহন করে না। আমরা আগামীকাল থেকে বাংলাদেশে পুলিশের জন্য নতুন এই গিয়ার ব্যবস্থা প্রচলন করতে চাই ধাপে ধাপে। প্রথমে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরী পুলিশে এই গিয়ারটি সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, হার্ডওয়ারের পাশাপাশি সফটওয়্যারের পরিবর্তনও দরকার। সফটওয়্যার হচ্ছে আমাদের আচরণ। আমাদের আচরণগত পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে। আমরা চাই যে, আমাদের একেবারে সর্ব কনিষ্ঠ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পদ সবাই আচরণগত ক্ষেত্রে এক একজন হবেন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজিপি (এঅ্যান্ডও) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরীসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভার্চুয়ালি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর অংশ গ্রহণ করেন।
বাসস/সবি/এফএইচ/১৯৫০/-কেএমকে