উৎসব মুখর পরিবেশে সিলেট সিটির স্থগিত কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন

214

সিলেট, ১১ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের স্থগিত দুই কেন্দ্র ও সংরক্ষিত-৭ আসনের ১৪ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গণনা শুরু হবে।
সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল বেশি। তবে দুপুরের দিকে কমতে থাকে। বিশেষ করে সংরক্ষিত কাউন্সিলর এলাকার কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি সংখ্যা একেবারে কম ছিল।
গত ৩০ জুলাই সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭ ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ হয়। ওইদিন দুই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত ঘোষণা এবং ১৯, ২০ ও ২১ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত কাউন্সিলর-৭ আসনে দুই প্রার্থী সমান ভোট পাওয়া আজ পুনরায় ভোট গ্রহণ করা হয়।
এদিকে, ৩০ জুলাইয়ের নির্বাচনে ১৩৪ ভোট কেন্দ্রের ১৩২ টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ৯০৪৯৬ ভোট এবং বদর উদ্দিন আহমদ কামরান নৌকা প্রতীকে পান ৮৫৮৭০ ভোট। ৪৬২৬ ভোটে আরিফুল হকের ধানের শীষ প্রতীক এগিয়ে থাকলেও স্থগিত দুই কেন্দ্রের মোট ভোট সংখ্যার চেয়ে কম হওয়ায় কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। এই দুই কেন্দ্রের কারণে ২৪নং ওয়ার্ড ও ২৭ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করেনি ইসি।
দুপুরে ২৪ নং ওয়ার্ডের গাজী বুরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ‘নারী ও পুরুষ ৬ বুথে দীর্ঘ লাইন। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন। নির্বাচন কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান জানিয়েছেন, ৩০ জুলাই এই দুই কেন্দ্রে গোলযোগ হওয়ায় এবার অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ হচ্ছে।’
এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার কৃপেশ রঞ্জন দাশ জানিয়েছেন, বেলা ১টা পর্যন্ত ৯শ’ ভোটার ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ২২১। বেলা ২টার দিকে ২৭নং ওয়ার্ডের হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৭৬৬ ভোটের মধ্যে ভোট দেন প্রায় ১ হাজার ভোটার।
এদিকে, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এলাকার প্রায় সব কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি একেবারে ছিল না। বেলা ২টা পর্যন্ত মিরাবাজার বখতিয়ার বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় হাতেগোনা কয়েক জন ভোটার এসেছেন।
সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান এ সম্পর্কে বলেন, আমরা ভোটারদের শতভাগ নিরাপত্তায় নিশ্চয়তা দিয়েছি। সকালে প্রবল বৃষ্টি ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বেড়েছে। সংরক্ষিত আসনে ভোটার কম হলেও স্থগিত হওয়া দুই কেন্দ্রে উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক।