আইনি লড়াইয়ে প্রাথমিকের শিক্ষক হলেন বিউটি

457

ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস): আইনি লড়াইয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিউটি বেগম।
সুুুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে হাজির হয়ে বিউটি বেগমের নিয়োগ বিষয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের তথ্য লিখিতভাবে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তা। তারা জানান, গত ১০ ডিসেম্বর বিউটি বেগমকে নিয়োগ দেয়া হয়। যা কার্যকর হবে ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট থেকে।
আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ আদালত অবমাননার আবেদন আজ নিষ্পত্তি করেন।
আদালতে বিউটি বেগমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শফিক মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আদালতের আদেশ প্রতিপালন না করায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ পাঁচজনকে তলব করে গত ৭ ডিসেম্বর আদেশ দেন আপিল বিভাগ। ওই আদেশ অনুসারে তারা আজ আদালতে হাজির হন। সাবেক ডিজি ছাড়া অন্য চারজন হলেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রমজান আলী, গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম, গাইবান্ধা সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.আব্দুস সালাম ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুমুল ইসলাম।
ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন জানান, ২০০৮ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিউটি বেগম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হন। কিন্তু তাকে নিয়োগ না দিয়ে পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারী নাজমা সুলতানাকে নিয়োগ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিউটি বেগম নিয়োগ না পেয়ে গাইবান্ধার সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলার শুনানি নিয়ে আদালত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে জেলা জজ ও হাইকোর্টেও আদেশ বহাল থাকে। এর বিরুদ্ধে আপিলের পরও সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট ১৫ দিনের মধ্যে বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। ওই আদেশের পরেও বিউটি বেগম নিয়োগ পায়নি। তাই তিনি আদালত অবমাননার আবেদন করেন।
আদালত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ২মার্চ আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। রুলেরও জবাব দেয়নি বিবাদীরা। এ কারণে আপিল বিভাগ বিবাদীদের তলব করেছিলেন বলে জানান এবিএম আলতাফ হোসেন।