বাসস দেশ-৩৭ (লীড) : দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু ৩২ জন, সুস্থ ৩,৩৯৩

260

বাসস দেশ-৩৭ (লীড)
করোনা-আপডেট
দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু ৩২ জন, সুস্থ ৩,৩৯৩
ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ২৮০তম দিনে গত ২৪ ঘন্টায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৩ জন।
গতকালের চেয়ে আজ ২ জন কম মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৩৪ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ হাজার ৫২ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ১৪ নভেম্বর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৩ জন। গতকালের চেয়ে আজ ২০৮ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ৩ হাজার ১৮৫ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ২০ হাজার ৮৯৬ জন।
আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৮৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১২ হাজার ৭৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৩৫৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ২৬ জন বেশি শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল ১২ হাজার ৬৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৩২৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১০ দশমিক ৫২ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ১১ শতাংশ বেশি।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ২৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ লাখ ৯০ হাজার ৫৩৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার ২৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮০৯টি হয়েছে সরকারি এবং ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮২১টি হয়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৮০২ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১২ হাজার ৬৫ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৭৩৭টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সরকারি ৭৭ ও বেসরকারি ৬৩টিসহ ১৪০টি পরীক্ষাগারে (এন্টিজেন টেস্টসহ) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ৭৪৮ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১২ হাজার ৬৩০ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ১১৮টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২৮৮০ দশমিক ৩০ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ২৪৭১ দশমিক ৪০ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৪১ দশমিক ৪১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ৩২ জনের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন, আর নারী ৮ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৩৮৯ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৬৬৬ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ৩১ জন হাসপাতালে এবং ১ জন বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের বছরের ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৭ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ২০ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৩ জন; যা দশমিক ৪৭ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৫৫ জন; যা দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৫৭ জন; যা ২ দশমিক ২৩ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৬০ জন; যা ৫ দশমিক ১০ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৮৩৭ জন; যা ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৮১৩ জন; যা ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ৩ হাজার ৭৯৭ জন; যা ৫৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও রংপুর বিভাগে ৩ জন করে এবং রাজশাহী বিভাগে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৩৮ জন; যা ৫৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৩০৮ জন; যা ১৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৪১৮ জন; যা ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৫০৮ জন; যা ৭ দশমিক ২০ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২৩১ জন; যা ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৭৮ জন; যা ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ৩১৮ জন; যা ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫৩ জন; যা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ২৬০টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬১ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ১৯৯টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ২৮৮টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ২৩৫ জন ও শয্যা খালি আছে ৫৩টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬৮৭টি, ভর্তিকৃত রোগী ২৫৮ জন ও শয্যা খালি আছে ৪২৯টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৪৫টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ২১ জন ও শয্যা খালি আছে ২৪টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬ হাজার ৫৪৫টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৫৯৬ জন ও শয্যা খালি আছে ৫ হাজার ৯৪৯টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২৩৭টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৭৭ জন ও শয্যা খালি আছে ১৬০টি। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১০ হাজার ৪৯২টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ৯১৫ জন এবং শয্যা খালি আছে ৭ হাজার ৫৭৭টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৭০টি, রোগী ভর্তি আছে ৩৩৩ জন এবং খালি আছে ২৩৭টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৩ হাজার ১৮৩টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৬৬৭টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৬১৩টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd Gi CORONA এর ঈঙজঙঘঅ কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ৩ হাজার ৩৯৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ২ হাজার ৭২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫১২ জন, রংপুর বিভাগে ৩৫ জন, খুলনা বিভাগে ৩১ জন, বরিশাল বিভাগে ১৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৪ জন, সিলেট বিভাগে ২১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৮৬০ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮৫ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৯২ হাজার ৮৯ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫ লাখ ৫১ হাজার ৪৯৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪০ হাজার ৫৯৩ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ১৪৬ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ১৩০ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৩ হাজার ৮৩৭ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৮১ হাজার ২০৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৬৩৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৬ হাজার ১১০ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫০ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৩ হাজার ১৬৬টি, ৩৩৩ এই হটলাইন নম্বরে ৪ হাজার ২৯৮টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ১৫৭টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৬২১টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৪টি।
কোভিড বিষয়ে হটলাইনে ২৪ ঘন্টায় ফোন করে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৪ জন, এবং এ পর্যন্ত ৬ লাখ ১৬ হাজার ১৪১ জন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫৪ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৮ হাজার ৫৮৮ জন এবং ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বাসস/এএসজি/এমএসএইচ/১৯২৫/এএএ