বাসস দেশ-২৭ : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ফাতেমা হত্যা রহস্য উন্মোচন করেছে পিবিআই

266

বাসস দেশ-২৭
পিবিআই-উদঘাটন-হত্যা
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ফাতেমা হত্যা রহস্য উন্মোচন করেছে পিবিআই
নারায়ণগঞ্জ, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ফাতেমা বেগম হত্যা রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)।
ফাতেমা হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইউনুস আলীকে (২৫) বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছে সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী হত্যার বর্ণনা দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।
শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থিত পিবিআইয়ের নারায়ণগঞ্জ অফিসের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জানান, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পিবিআই আসামী সনাক্ত করার পর সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকা থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আসামী ইউনুস আলীকে গ্রেফতার করেছে। আসামী হত্যাকা-ের বর্ণনা দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে। হত্যার আলামত নষ্ট করার জন্য আসামী নিহত ফাতেমা বেগমের মোবাইল সেট, জাতীয় পরিচয়পত্র, গলার হার, কানের দুল, হাত ব্যাগ গোপালদী বাজারের গাজীপুরা ব্রীজ থেকে হাড়দোয়া নদীতে ফেলে দেয়।
তিনি বলেন, এই হত্যাকান্ডের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহত ফাতেমা বেগম ও ইউনুস আলী আড়াইহাজারের গোপালদী ইউনিয়নের মানিকনগর এলাকায় পাশপাশি বাড়িতে বসবাস করতো। মালয়েশিয়া ফেরত ইউনুস আলী সাথে তালাকপ্রাপ্তা ফাতেমা বেগমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সম্পর্ক শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। পাঁচ মাসের ব্যবধানে আন্তঃসত্ত্বা ফাতেমা বেগম বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। বাবা মায়ের চাপ, অন্যদিকে বিয়ের জন্য ফাতেমার চাপ থেকে বাঁচতেই ইউনুস আলী হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ১০ আগষ্ট ইউনুস আলী পরিকল্পনা অনুযায়ী ফাতেমা বেগমকে মোবাইল ফোনে বাসা থেকে ডেকে আনে এবং শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ও মাটি চাপা দেয়। ছয়দিন পর একটি ঘর থেকে দু:র্গন্ধ বের হলে বাড়ির লোকজন ঘরের বালু সরিয়ে লাশ দেখেতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মুক্তার হোসেন বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ২৯ অক্টোবর মামলাটি পিবিআইতে আসে। মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে আসার মাত্র ৪৩ দিনের মাথায় রহস্য উন্মোচন ও আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএআর/২১২২/-শআ