বাসস দেশ-৩০ : কক্সবাজারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর সম্মান অক্ষুণ্ন রাখার অঙ্গীকার

191

বাসস দেশ-৩০
প্রতিবাদ- বঙ্গবন্ধু- ভাস্কর্য
কক্সবাজারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর সম্মান অক্ষুণ্ন রাখার অঙ্গীকার
কক্সবাজার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস): বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর ও অবমাননার প্রতিবাদে কক্সবাজারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে তারা বঙ্গবন্ধুর সম্মান অক্ষুণ্ন রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় কক্সবাজার শহরে নির্মাণাধীন শিশু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘জাতির পিতার সম্মান, রাখবো মোরা অম্লান’ শ্লোগানে আজ এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিচার বিভাগ সহ জেলার সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীরাও অংশগ্রহণ করেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবর রহমান, ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক এসপি আতিকুর রহমান, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পার্থ সারথি, মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাশেম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগম প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করা মানেই মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। জাতির পিতার ভাস্কর্য যারা ভেঙ্গেছে, তারা রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ করেছে। বক্তারা বলেন, জাতির পিতার প্রতি অবমাননা সহ্য করা হবে না। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ধরনের যে কোন অপশক্তিকে রুখে দিতে বদ্ধপরিকর।
সমাবেশে এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ‘বঙ্গবন্ধুর বালু ভাস্কর্য’ নির্মাণ করে আগামী ১৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দর্শণার্থীদের উন্মুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএআর/২০৫৫/-শআ