বাসস দেশ-৬ : নাইজেরিয়ার নাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

145

বাসস দেশ-৬
নাইল বিশ^বিদ্যালয়- বঙ্গবন্ধু
নাইজেরিয়ার নাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : নাইজেরিয়ার আবুজায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা নাইজেরিয়ার আবুজায় নাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বছরব্যাপী গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৯ ডিসেম্বর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে নাইল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক উসমান নুরি আরাজ, বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড: আদেসিনা উসমান গোনিয়েত এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব ও ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিদোষ চন্দ্র বর্মন অংশ গ্রহণ করেন।
অধ্যাপক উসমান নুরি আরাজ বলেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু এক মহান নেতা ও রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর বীরোচিত আত্মত্যাগ বাংলাদেশসহ গোটা পৃথিবীর মানুষ এখনও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে বলতে গিয়ে, উপাচার্য বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে বিদোষ চন্দ্র বর্মন বলেন যে, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেননি, যথাশীঘ্র সম্ভব যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনের কাজও শুরু করে দিয়েছিলেন। বাংলার সমৃদ্ধির ইতিহাস তুলে ধরে বর্মন বলেন যে, বঙ্গবন্ধু কৃষক ও শ্রমিককে শোষণ থেকে মুক্তির জন্য একটি সমৃদ্ধ দেশ চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন এমন এক আর্থ-সামজিক ব্যবস্থা যেখানে ধনী-গরীবের বৈষম্য থাকবে না।
বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বর্মন উল্লেখ করেন যে, সদ্য স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু তাঁর অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকে অর্থনৈতিক রূপরেখা বাস্তবায়নে সুদূর প্রসারী বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সে লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কৃষি সংস্কার, শিল্পায়ন, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে ভারসাম্যমূলক ও সমতাভিত্তিক অর্থনেতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর প্রাধান্য দেন।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে চলেছেন। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম-আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশকে প্রায়ই ıউন্নয়নের রোল মডেল বা উন্নয়ন-বিস্ময় বলে অভিহিত করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার পথে অগ্রগতি বেশ লক্ষ্যণীয়।
অধ্যাপক ড. আদেসিনা উসমান গোনিয়েত তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন মহান নেতা। তিনি সারা বিশে^র স্বাধীনতাকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে, সাম্প্রতিক সময়ে দ’ুদেশের মধ্যেকার বাণিজ্যের পরিমাণ যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তা খুবই প্রশংসনীয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিশ^মানের অনেক সাফল্যগাথা রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়া তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে- বিশেষ করে, পোশাক, ঔষধ, নারী ক্ষমতায়ন ও কৃষি-ক্ষেত্রে। তিনি আশা করেন যে উভয় দেশ ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতার আরও সম্ভাব্য ক্ষেত্রেসমূহ অনুসন্ধান করবে।
আলোচনা শেষে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাইল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যকে মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে নাইজেরিয়ার সরকার কর্তৃক অবমুক্ত স্মারক ডাকটিকেট হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/কেসি/১৩০০/অমি