পার্বত্য এলাকায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করা জরুরি : রাষ্ট্রপতি

2377

ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, পার্বত্য এলাকায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করা একান্ত জরুরি।
আগামীকাল ১১ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ও মানুষের অপরিকল্পিত ভূমি ব্যবহারের কারণে বিশ্বব্যাপী পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতিবৃষ্টি, খরা, ঝড়-ঝঞ্জা অন্যদিকে বৃক্ষনিধনের মাধ্যমে বন উজাড়; দুইয়ের প্রভাবে পার্বত্য এলাকায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী তরুণ সমাজকে পার্বত্য অঞ্চলগুলোর পরিবেশ রক্ষায় সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া একান্ত জরুরি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’
তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকা বাংলাদেশের এক অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত অঞ্চল। বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতি, নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পার্বত্য অধিবাসীদের বর্ণিল কৃষ্টি-ঐতিহ্যসমৃদ্ধ এ অঞ্চল কেবল বাঙালিদের নয়, বিশ্ববাসীকেও প্রবলভাবে আকর্ষণ করে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পার্বত্য এলাকার বনাঞ্চল নানা প্রজাতির পশু-পাখি ও গাছপালায় অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি এলাকা। পার্বত্য চট্টগ্রামের অনন্য ভূ-প্রাকৃতিক গঠন, বিস্তৃত বনাঞ্চল ও তার জীববৈচিত্র্য দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ প্রেক্ষিতে এবারের আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের প্রতিপাদ্য “পর্বত জীববৈচিত্র” অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
আবদুল হামিদ বলেন, আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস পালনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীদের জীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের উন্নত ভবিষ্যৎ গঠনের মৌলিক উপাদানসমূহ নিশ্চিত হবে – এটাই সকলের প্রত্যাশা।
‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস ২০২০’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির তিনি সফলতা কামনা করেন।