বাসস দেশ-৪০ (লীড) : দেশে ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যু ৩৭ জন, সুস্থ ৪,৪৮৬

155

বাসস দেশ-৪০ (লীড)
করোনা-আপডেট
দেশে ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যু ৩৭ জন, সুস্থ ৪,৪৮৬
ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : দেশে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ৩৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৪৮৬ জন।
গতকালের চেয়ে আজ ১৩ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ২৪ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ হাজার ৯৬৭ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ১৪ নভেম্বর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৪৮৬ জন। গতকালের চেয়ে আজ ২৮৬ জন কম সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ৪ হাজার ৭৭২ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ১০ হাজার ৪৫২ জন।
আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৮৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৬ হাজার ২৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৮৬১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ২৯৮ জন বেশি শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল ১৭ হাজার ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ১৫৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ২৯ লাখ ২৭ হাজার ৯২৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৭৫টি সরকারি এবং ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৪টি হয়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৬০০ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৬ হাজার ৯৭২ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৩৭২টি নমুনা কম সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সরকারি ৭৭ ও বেসরকারি ৬৩টিসহ ১৪০টি পরীক্ষাগারে (এন্টিজেন টেস্টসহ) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৬ হাজার ২৬৫ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৭ হাজার ৪২ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ৭৭৭টি কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২৮৫৩ দশমিক ৪৭ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ২৪১০ দশমিক ০৮ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৪০ দশমিক ৯১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ৩৭ জনের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন, আর নারী ৯ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৩২৬ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৬৪১ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ৩৬ জন হাসপাতালে এবং ১ জন বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৮ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ২৩ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৩ জন; যা দশমিক ৪৭ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৫৫ জন; যা দশমিক ৭৯ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৫৫ জন; যা ২ দশমিক ২২ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৫৫ জন; যা ৫ দশমিক ১০ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৮৩২ জন; যা ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৭৯৫ জন; যা ২৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ৩ হাজার ৭৪২ জন; যা ৫৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ২৩ জন, চট্টগ্রাম ৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ জন করে এবং রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে ২ জন করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৩ হাজার ৭৮৩ জন; যা ৫৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ২৯৭ জন; যা ১৮ দশমিক ৬২ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৪১৬ জন; যা ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৫০৫ জন; যা ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২২৯ জন; যা ৩ দশমিক ২৯ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৭৩ জন; যা ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ৩১২ জন; যা ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫২ জন; যা ২ দশমিক ১৮ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ৩৫৪টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৯০ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ২৬৪টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩১৬টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ২৩৩ জন ও শয্যা খালি আছে ৭০টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬৮৭টি, ভর্তিকৃত রোগী ২৯২ জন ও শয্যা খালি আছে ৩৫৫টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৪৫টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ২৩ জন ও শয্যা খালি আছে ২২টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬ হাজার ৫৪৫টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৫৮০ জন ও শয্যা খালি আছে ৫ হাজার ৯৬৫টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২৩৭টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৮০ জন ও শয্যা খালি আছে ১৫৭টি। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১০ হাজার ৫৪৬টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ৯৬২ জন এবং শয্যা খালি আছে ৭ হাজার ৫৮৪টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৯৮টি, রোগী ভর্তি আছে ৩২৪ জন এবং খালি আছে ৬৬৩টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৩ হাজার ৬১৪টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৬৬৩টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৬২০টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd এর CORONA কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ৪ হাজার ৪৮৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৩ হাজার ৪৯৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৭৮ জন, রংপুর বিভাগে ৭৫ জন, খুলনা বিভাগে ২৬ জন, বরিশাল বিভাগে ২৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৩ জন, সিলেট বিভাগে ৩১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৩ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯২৪ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮৫৭ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৬৭৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪২ হাজার ১৮১ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ২০৭ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ২৮০ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৩ হাজার ৩৪১ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৮০ হাজার ৬৮৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৬৫৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৫ হাজার ১৬৪ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ১৩ লাখ ১৫ হাজার ২০৬ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ২ হাজার ১০৬টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৩টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ২ হাজার ২৮৯টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ৩১ লাখ ২৮ হাজার ৭২০টি।
কোভিড বিষয়ে হটলাইনে ২৪ ঘন্টায় ফোন করে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন ৩ হাজার ২৭২ জন, এবং এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৯ হাজার ৮৩৩ জন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৬১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ২৮৪ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার ৩৬১ জন এবং ১৫ লাখ ৫১ হাজার ২১৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বাসস/এএসজি/এমএসএইচ/১৮৫৫/এএএ