বাসস দেশ-৩১ : হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় যুক্তি উপস্থাপন ১৪ জানুয়ারি

88

বাসস দেশ-৩১
আজাদ হত্যা-যুক্তি উপস্থাপন
হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় যুক্তি উপস্থাপন ১৪ জানুয়ারি
ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। তাদের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ যুক্তি উপস্থাপনের জন্য সময়ের আবেদন করেন। ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মাকছুদা পারভীন সময় আবেদন মঞ্জুর করে এদিন ধার্য করেন।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন তার ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
হামলার পর হুমায়ুন আজাদ ২২ দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই বছরের ১২ আগস্ট মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।
২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে হত্যা এবং বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, জেএমবির শূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। আসামিদের মধ্যে মিনহাজ ও আনোয়ার কারাগারে। সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক। হাফিজ মাহমুদ মারা গেছেন।
মামলায় জেএমবির শূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক ও আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। হত্যা মামলায় ৫৮ জনের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৪১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৮০৮/অমি