আয়াজ হত্যা মামলায় সিটি কলেজের এক ছাত্রের আমৃত্য কারাবাস

231

ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস): কলেজ ফুটবল প্রীতি টুর্ণামেন্টের বিরোধের জের ধরে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র আয়াজ হককে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক ছাত্রের আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।আসামিরা সবাই সিটি কলেজের ছাত্র।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আসামি ইনজামামুন ইসলাম ওরফে জিসানকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে- তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যান।
এর আগে কারাগারে আটক আসামি ইনজামামুন ইসলাম ওরফে জিসান ও তৌহিদুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর আদালত তাদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামিদের সাজা পরোয়ানা করে পাঠানো হয়। তবে এ মামলায় মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যান পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিল না। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৯জুন সিটি কলেজের প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ও খরচ বাবদ টাকা তোলার বিষয় নিয়ে আয়াজের বড় ভাই সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশদিন হকের সাথে আসামিদের কথা কাটাকাটি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ওইদিন বিকেলে ধানমন্ডি থানাধীন জিগাতলায় যাত্রী ছাউনির কাছে আয়াজকে একা পেয়ে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে মারপিট ও ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে। আয়াজকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ছেলে আয়াজ হত্যার ঘটনায় তার বাবা আইনজীবী শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৯ জুন ধানমন্ডি থানায় সিটি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ছয় ছাত্র ইনজামামুন ইসলাম ওরফে জিসান, তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যানের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন৷
এরপর ২০১৫ সালের ১৩ মে ধানমন্ডি থানার এসআই সাহিদুল বিশ্বাস ৪৭ জনকে সাক্ষী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে আদালত ১৬জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।