বাসস দেশ-৪১ : উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তাৎপর্যপূর্ণ : স্পিকার

149

বাসস দেশ-৪১
স্পিকার-অষ্টম পঞ্চবার্ষিক
উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তাৎপর্যপূর্ণ : স্পিকার
ঢাকা, ৯ ডিসেম্বর ২০২০ (বাসস): স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থান থেকে পাঁচ বছর পর ভবিষ্যতের অবস্থান নির্ধারণ করাই অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রণীত প্রেক্ষিত পরিকল্পনার প্রথম ধাপ এই অষ্টম পঞ্চবার্ষিক (২০২১-২০২৫) পরিকল্পনা।
স্পিকার আজ সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের আয়োজনে ‘অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দলিলের চূড়ান্ত খসড়ার উপর পরামর্শ সভা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে ১৯৭৩ সালে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছিল, যার ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে অন্যান্য পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনার গুরুত্ব অত্যন্ত গভীরভাবে অনুধাবন করেন বলেই ধারাবাহিকভাবে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাগুলো প্রণয়ন করা হচ্ছে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ ২০২০-এ গৃহীত অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বৈষম্য নিরসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পরিবেশগত উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়নের মতো সাধারন বিষয়গুলো পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রাণশক্তি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সফলতা ও অর্জনগুলো জাতিকে ‘প্রমোটিং প্রসপারিটি’ তথা সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যেখানে দারিদ্রের হার নেমে আসবে ৩ শতাংশে ও চরম দারিদ্র্যের হার হবে ১ শতাংশের কম। শহর ও গ্রামের বৈষম্য কমে সকল ধরণের নাগরিক সুবিধা গ্রামে বিস্তৃত হবে, গড় আয়ু ও জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিতে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে সঙ্গতভাবে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ ভাগে নেমে এলেও প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপের কারণে পৃথিবীর অনেক দেশ থেকেই বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ও কোভিড-১৯ মহামারির চ্যালেঞ্জগুলো থেকে উত্তরণে ইতিবাচক পদক্ষেপগুলো পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
স্পিকার বলেন, বর্তমান ডিজিটাল যুগে ই-কমার্স ও অনলাইন বাণিজ্যের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় এক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কাস্টম আইন ইত্যাদি বিষয়ে সহায়তা দিতে হবে। কেননা এর মাধ্যমে পণ্য দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিকভাবে আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে। জনশক্তি ও শ্রমশক্তির অর্ধেক নারী বিধায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আয়-বৈষম্য নিরসন করে নারীদের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশলে সম্পৃক্ত করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে সকলের জন্য যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আমির হসেন আমু এমপি, তোফায়েল আহমেদ এমপি, মতিয়া চৌধুরী এমপি, আবুল কালাম আজাদ এমপি, শাহজাহান খান এমপি, সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, মেহের আফরোজ এমপি, আবিদা আঞ্জুম মিতা এমপি, রাশেদ খান মেনন এমপি, সিমিন হোসেন রিমি এমপি, মকবুল হোসেন এমপি, এ বি তাজুল ইসলাম এমপি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম অনুষ্ঠানে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দলিলের চূড়ান্ত খসড়া উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
বাসস/সবি/এমআর/২০১০/-শআ